ইসলামপুর: Islampur প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে নিয়েছিলেন কাটমানি। নিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের Panchayat Pradhan পঞ্চায়েত প্রধান। দলের কোপের মুখে পড়ে সেই তিনিই আবার টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টাও করলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল কোথায়! সবাইকে টাকা দিতে না পেরে পড়লেন চরম বিক্ষোভের মুখে। এল পুলিশ। প্রধানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ধাওয়া করল গ্রামবাসীরা।
চাঞ্চল্যকর ঘটনা Uttar Dinajpur উত্তর দিনাজপুর জেলার Islampur ইসলামপুর ব্লকের কমলাগাঁও সুজালী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নুড়ি বেগম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেবেন বলে প্রায় কয়েক শতাধিক উপভোক্তাদের কাছ থেকে ১০ হাজারেরও বেশি টাকা কাটমানি হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দিতে পারেননি ঘর। তৃণমূলের উপরতলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও জমা পড়ে।
ঘাসফুল শিবিরের ব্লক নেতৃত্ব তাঁকে প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিতেও বলে। দল থেকে বহিস্কারেরও সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, পদ ছাড়তে নারাজ প্রধান। কোনওভাবেই পঞ্চায়েতের প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি। উল্টে এদিন তাঁকে সাধারণ মানুষের টাকা ফেরাতে দেখা যায়। কিন্তু, অনেকেই কাটমানির টাকা ফেরত না পেয়ে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন।
প্রধানকেও আটকে দেয় বিক্ষোভকারীরা। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ বিক্ষোভের মাঝেই প্রধানকে বেড় করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, পিছু নেই বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা প্রতিরোধ করে পুলিশ। এদিকে প্রধান বলছেন, প্রশাসনের তরফে এই টাকা ফেরতের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
সেখানে তাঁকে থাকতে বলা হয়ছিল। আর এই টাকা তাঁর আমলের নয়। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি, নুড়ি বেগম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেবেন বলে প্রায় কয়েক শতাধিক উপভোক্তাদের কাছ থেকে ১০ হাজারেরও বেশি টাকা কাটমানি হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু, ঘর দিতে না পারার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। এদিকে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় এখনও সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।