ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের Reserve Bank of India ৫১তম MPC মিটিং ৭ অক্টোবর শুরু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস সেই বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো ঘোষণা করেছেন। ইউপিআইয়ের লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে দিল Reserve Bank of India রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে নীতিতে বদল আনার কথা ঘোষণা করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। মুদ্রা নীতি কমিটির (এমপিসি) বৈঠকে ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস (ইউপিআই) সিস্টেমে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বলে জানান তিনি।
Reserve Bank of India রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের পর ইউপিআই লেনদেনে তিনটি বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক৷ ‘ইউপিআই ১২৩ পে’তে লেনদেনের সীমা ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, ‘ইউপিআই লাইট’ এর ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে।
‘ইউপিআই লাইট’ ওয়ালেটে টাকা জমা রাখার পরিমাণও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে ওয়ালেটে সর্বোচ্চ দু’হাজার টাকা রাখা যেত। সেই টাকা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করা হয়েছে৷ এই সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ কারণ, বেশির ভাগ গ্রাহক ছোট লেনদেনের জন্য ব্যাপক ভাবে ‘ইউপিআই লাইট’-এর ওপর ভরসা করে থাকেন। ষষ্ঠীর সকালে বৈঠকে বসেছিল শীর্ষ ব্যাঙ্কের ছয় সদস্যের আর্থিক কমিটি। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভারতে চালু করা হয় ‘ইউপিআই লাইট’।
১) রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর ঋণ সংক্রান্ত একটি বড় ঘোষণা করেছেন। আরবিআই-এর ক্রেডিট পলিসি কমিটি টানা ১০ম বার সুদের হারে কোনও পরিবর্তন করেনি। কমিটির ৫১তম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পরে রেপো রেট ৬.৫০%-এ রয়েছে। অন্য দিকে, রিভার্স রেপো রেট ৩.৩৫ শতাংশে রয়ে গিয়েছে। ব্যাঙ্ক রেট রয়েছে ৬.৭৫%। এবার ৬ সদস্যের মধ্যে ৫ জন সর্বসম্মতিক্রমে সুদের হারে কোনও পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। : Personal Loan না কি Credit Card? হঠাৎ টাকার প্রয়োজন পড়লে কোনটা লাভজনক জেনে রাখুন
২) আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ২০২৫ আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের জন্য জিডিপি অনুমান ৭.২ শতাংশ থেকে ৭%-এ হ্রাস করার ঘোষণা করেছেন। ৩ ত্রৈমাসিকের জন্য জিডিপি ৭.৩ শতাংশ থেকে ৭.৪ শতাংশে, চতুর্থ কোয়ার্টারের জন্য ৭.২ শতাংশ থেকে ৭.৪ শতাংশে এবং ২০২৬ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের জন্য, জিডিপি ৭.৩ শতাংশে রাখা হয়েছে।
৩) FY২৫ এর জন্য খুচরো মূল্যস্ফীতির অনুমান ৪.৫ শতাংশে বজায় রাখা হয়েছে। ২০২৫ সালের ব্যবসায়িক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের জন্য এটি ৪.১ শতাংশ, তৃতীয় প্রান্তিকের জন্য ৪.৮ শতাংশ, চতুর্থ প্রান্তিকের জন্য ৪.২ শতাংশ এবং ২০২৬ সালের ব্যবসায় বছরের প্রথম প্রান্তিকের জন্য ৪.৩ শতাংশ রাখা হয়েছে। : বেতন থেকে ঠিক কতটা সঞ্চয় করা উচিত? বিশেষজ্ঞর পরামর্শ মানলেই সব মুশকিল হবে আসান
৪) এটি ছাড়াও, নীতিগুলোকে উইথড্রয়াল অফ অ্যাকোমোডেশন থেকে নিউট্রালে পরিবর্তন করা হয়েছে। এর অর্থ হল আসন্ন সিদ্ধান্তে কিছুটা শিথিলতা দেওয়া যেতে পারে। অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে পলিসি রেট বাড়াতে বা কমাতে RBI-এর নমনীয়তা থাকবে। অর্থাৎ আসন্ন বৈঠকে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা আরও বেড়েছে।
৫) তিনি আরও বলেন, খাদ্য ও দামের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। বৈশ্বিক সংকট ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় রুপির ওঠানামা কম।