প্রায় ২০ বছর পর পূর্ব Burdwan বর্ধমানের জামালপুরে দামোদর নদে জেলের জালে ধরা পড়ল ইলিশ। শুক্রবার রুপোলি শস্য দেখার জন্য ভিড় জমে গেল এলাকায়। কী ভাবে নোনা জলের ‘বাসিন্দা’ দামোদরের মিষ্টি জলে চলে এল, তাই নিয়ে চলল আলোচনা। শেষে এক কেজি ওজনের ওই ইলিশ বিক্রির জন্য ডাকা হল নিলামও। শুক্রবার সকালে জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার মাছের আড়তে ভিড় জমে গিয়েছিল।
টানা বৃষ্টিতে কয়েক দিন আগেই ডিভিসি-র জলাধার থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ার ফলে উপচে পড়েছিল Burdwan দামোদর। বানভাসি হয় জামালপুরের বিভিন্ন এলাকা। ইলিশ ধরার পড়ে গুঞ্জন উঠেছে ডিভিসি-র ছাড়া জলের বিপরীতে আসতে আসতে মোহনা থেকে কিছু ইলিশ জামালপুরের দামোদরে এসে পড়েছে। একটি ইলিশ ধরা পড়ে তপন বিশ্বাস নামে এক মৎস্যজীবীর জালে।
সেই খবর চাউর হতেই পাশের মাছের বাজারে বাড়তি ভিড় শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইলিশটিকে মাছের আড়তে নিয়ে যেতে সব মাছ ছেড়ে ওই মাছের নিলাম ডাকেন আড়তদার। ডাক শুরু হয়েছিল ১,২০০টাকা থেকে। শেষমেশ জামালপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মণ বিশ্বাস ২,১০০ টাকা কেজি দরে মাছটিকে কিনে নেন। লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘এক কেজি ওজনের জীবন্ত ইলিশ পেয়ে আমি খুবই খুশি।
তাই টাকার পরোয়া না করে ২,১০০ টাকায় কিনে ফেললাম।’’ মাছ ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা বলছেন, প্রায় বছর ২০ আগে দামোদরে ইলিশ পাওয়া যেত। এত বছর পরে দামোদরে ইলিশ ওঠায় স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছিল। জামালপুরের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক নিত্যানন্দ মণ্ডল জানান, উত্তর মোহনপুর এলাকার জেলে তপন বিশ্বাস মাছটি পেয়েছেন। আড়তদার প্রভাত পাত্রের আড়তে মাছটি নিলাম হয়েছে। আর প্রভাত বলেন, ‘‘নোনা জল থেকে মিষ্টি জলে ডিম পাড়তে আসে এরা। সে ভাবেই হয়তো কাল্লা এবং জামালপুরের মাঝে ইলিশ ধরা পড়ল।’’ প্রভাতরা বলছেন, ইলিশ তো ঝাঁকের মাছ। একটি ধরা পড়েছে মানে আগামী কয়েকদিনে আরও মাছ ধরা পড়বে।