বাম আমলের হার্মাদ Abdus Sattar আব্দুস সাত্তার এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রধান উপদেষ্টা ’ হার্মাদ? কথাটা শুনেই শিড়দাঁড়া দিয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল তাই না ! বয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। পর্তুগীজ ‘আর্মাডা’ শব্দের অপভ্রংশ থেকে হার্মাদ কথাটির উৎপত্তি। পর্তুগীজ বণিকরা নিজেদের স্বার্থে দুষ্কৃতীদের নিয়ে ‘আর্মাডা’ বাহিনী তৈরি করতেন। তারা বঙ্গে জলদস্যু হিসেবেও পরিচিত ছিল। বলা হতো হার্মাদ। এক সময় এই ‘হার্মাদ’ নামে কাঁপত জঙ্গলমহল সহ গোটা রাজ্য। নন্দীগ্রাম কাণ্ডেও তিন অক্ষরের এই শব্দটির ভয়াবহ রূপ দেখেছে রাজ্যবাসী। জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের প্রতিহত করতে সিপিএমের ছত্রছায়ায় তৈরি হয়েছিল হার্মাদ বাহিনী।
সাধারণ মানুষকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর, ফসলের গোলায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা—সবকিছুর সঙ্গেই জড়িয়েছিল হার্মাদরা। সেই হার্মাদ বাহিনীর নেতা ২০০৬-২০১১ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকারের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী Abdus Sattar আব্দুস সাত্তারকে মমতা-সরকার নিয়োগ করেছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর ‘প্রধান উপদেষ্টা’ হিসাবে। মঙ্গলবার নবান্নের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা বিষয়ক দফতরের মুখ্যউপদেষ্টা হলেও তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান মর্যাদা এবং সুযোগ সুবিধা পাবেন। সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন এমন পদক্ষেপ নিতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ?
এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পরই সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এই ঘটনাকে ‘ফিস ফ্রাই পলিটিক্স’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে 12টি আসনে জিততে সাহায্য করার জন্য এবং আরজি কর ঘটনা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ইন্ডি জোটকে পুরস্কৃত করলেন। বাম সরকারের প্রাক্তন সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা বিষয়ক মন্ত্রী Abdus Sattar আব্দুস সাত্তার হলেন তাঁর নতুন মুখ্য উপদেষ্টা।” এরপর রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছেন, “টিএমসি-তৃণমূল মার্ক্সিষ্ট কম্ব।”
তবে বাম আমলের হার্মাদ আব্দুস সাত্তারের যোগ দানকে জয় হিসেবে দেখছে রাজ্যের শাসক দল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, “এর সঙ্গে ওই কথার সম্পর্ক কী? এটা তো প্রশাসনিক বিষয়। সরকার মনে করেছে তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। আবদুস সাত্তার আগে বাম দলে ছিলেন, সেখান থেকে কংগ্রেস যান। এখন তিনি সরকারি প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। এতে বিজেপির এত লাফালাফির কী আছে? ওদের দলে তো লোকই থাকতে চাইছে না।” শুভেন্দুর এক্স হ্যান্ডলে প্রতিক্রিয়া নিয়ে কুণালের কটাক্ষ, “কারও একটা এক্স হ্যান্ডেল আছে, যা ইচ্ছে লিখতে পারেন। মানসিক হতাশা এটা। প্রতিপক্ষ তৃণমূল শক্তিশালী হচ্ছে। অন্য দল থেকে তাদের দলে কর্মীরা আসছেন। বিজেপির সহ্য হচ্ছে না। তাই স্থান-কাল-পাত্র গুলিয়ে ফেলছেন।” তবে
আরও পড়ুন জেলার খবর কলকাতা দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তর ২৪ পরগনা হাওড়া নদিয়া মুর্শিদাবাদ পূর্ব বর্ধমান পশ্চিম বর্ধমান ঝাড়গ্রাম পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া বাঁকুড়া হুগলি বীরভূম মালদহ উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুর জলপাইগুড়ি শিলিগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহার