তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল শুরু করে। পুজো কমিটিগুলোকে অনুদানও প্রদান করে প্রতিবছর। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এরই মধ্যে প্রতিবাদের কার্নিভ্যালের উদ্যোগ নিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন। Droher Carnival দ্রোহের কার্নিভ্যালে মানুষকে যোগ দিতে আবেদন জানিয়েছে জয়েন্ট প্লাটফর্ম ওফ ডক্টরস।
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স, পঃবঙ্গের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. পুণ্যব্রত গুণ ও ডা. হীরালাল কোনার বলেন, “জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস, তার সহযোদ্ধা অন্য একাধিক সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতায় আজ, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ভাবে ধর্মতলায় রানি রাসমণি এভিনিউতে বিকেলে দ্রোহের কার্নিভ্যাল সংগঠিত করতে চলেছে। যা এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদী ও প্রতিস্পর্ধী আন্দোলনের অনন্য স্মারক হয়ে থেকে যাবে, এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
কিন্তু এটাও সত্যি, দূরবর্তী জেলা বা মহকুমা থেকে ক্ষোভের আগুনে দগ্ধ অসংখ্য মানুষের এই কেন্দ্রীয় কার্নিভালে অংশগ্রহণ করা স্বাভাবিক কারণেই কষ্টসাধ্য।” এই সংগঠনের আবেদন, “আপনারা নিজের এলাকায়, চিকিৎসক-সহ সমস্ত পেশার প্রতিনিধি, সংস্কৃতি কর্মী এবং যত বেশি সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করে, এই সপ্তাহের মধ্যে, সুবিধামতো দিনে সময় ও স্থান নির্বাচন করে Droher Carnival “দ্রোহের কার্নিভ্যাল” , সংগঠিত করুন।
গান, কবিতা, পথনাটিকা, শ্লোগান, মিছিল, প্লাকার্ড, ফেস্টুন, ঢাকি ইত্যাদির সংমিশ্রণে প্রত্যেক জেলার বাসিন্দারা এক অভূতপূর্ব কার্নিভ্যালের সাক্ষী থাকুন।” সোমবার রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় সিনিয়র চিকিৎসকদের। সেই বৈঠকেও পুরোপুরি রফাসূত্র বের হয়নি। চিকিৎসক সংগঠনের বক্তব্য, “অপরাধীরা দায়িত্বে থেকে গেলে কখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে না।
আগে তাদের সরাতে হবে, জনগণের দাবি মেনে নিতে হবে, পুলিশি নির্যাতন বন্ধ করতে হবে, এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে—এগুলোই স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার প্রথম পদক্ষেপ। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, অভয়া ১-এর নৃশংস ঘটনার পর আপনারা কোনও শিক্ষাই নেননি। আপনাদের অদক্ষ ও নির্লজ্জ আচরণের পরিণাম হতে চলেছে অভয়া ২, ৩, ৪…।” তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, ”আমাদের শেষ কথা—অনুমতি থাক বা না থাক, “দ্রোহ কার্নিভ্যাল” হবেই। অভয়ার জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য এই লড়াই থামবে না।”