Purulia News in Bengali খাতায় কলমে চলছে স্কুল। তবে ঘণ্টা বাজে না। প্রতিদিন আসেন শিক্ষক। কিছুক্ষণ বসে থেকে একসময় ফিরেও যান। কারণ পড়ুয়া যে একজনও নেই। তিন কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বেশ কষ্ট করেই সরবেড়িয়া হাইস্কুলে পড়তে যায় ছাত্রছাত্রীরা, কিন্তু গ্রামের স্কুলটিতে পড়তে আসে না কেউ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঠনপাঠনের কোনও পরিকাঠামোই নেই। দরজা-জানলা পর্যন্ত নেই এই স্কুলে।
২০১২ সালে Purulia News in Bengali পুরুলিয়ার বরাবাজার ব্লকের লটপদা অঞ্চলের ধারগ্রামে এই উচ্চ প্রাথমিক স্কুলটি তৈরি হয়। প্রথম প্রথম ছাত্র-ছাত্রীরা এলেও ২০২২ সাল থেকে স্কুলের পঠনপাঠন মোটের উপর শিকেয় ওঠে। এখন একজন মাত্র শিক্ষক নিয়ম করে আসেন। স্কুলের তালা খুলে ঢুকে কিছুটা সময় বসে থেকে আবার ফিরে যান। বরাবাজার সদর থেকে প্রায় ২০কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের সীমানায় এই প্রত্যন্ত স্কুল চলছে এভাবেই।
গ্রামের মানুষ জানান, স্কুল তৈরি হওয়ার সময়ই শুধু দেওয়াল তোলা হয়। দরজা-জানলা লাগানো হয়নি। ১২ বছরে সেই অবস্থাতেই রয়েছে দুটি ক্লাসঘর। তবে মিডডে মিলের জন্য তৈরি হওয়া রান্নাঘরে দরজা-জানলা রয়েছে। রয়েছে শৌচাগার ও পানীয় জলের ট্য়াঙ্কও। শুরুতে শুধুমাত্র একজন অতিথি শিক্ষক ছিলেন। ২০১৩ সালে তাপস কুমার সতপতি এই স্কুলে টিআইসি হিসেবে যোগদান করেন।
সেই বছরের ডিসেম্বর মাসে আরও একজন শিক্ষক যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ‘উৎসশ্রী’ প্রকল্পে আবেদন করে পুরুলিয়া থেকে মেদিনীপুরে বদলি হয়ে যান সেই শিক্ষক। এখন শুধু তাপসবাবু রয়ে গেছেন। তিনি জানান, স্কুলের পরিকাঠামো না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা অন্য স্কুলে চলে যায়। পোর্টালের মাধ্যমে তাঁদের নিয়মিত রিপোর্ট পাঠাতে হয় জেলা শিক্ষা দফতরে, ফলে সবটাই জানে জেলা শিক্ষা দফতর। জেলা শিক্ষা দফতরের পরিদর্শক গৌতমচন্দ্র মাল দাবি করেন, ছাত্রের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুলটি। তবে পরিকাঠামোর বিষয়টি এসআইয়ের থেকে খোঁজ নেবেন বলে জানান। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, সরকারের গাফিলতিতেই স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁদের দাবি, স্কুলটিতে পড়াশোনা চালু হোক আবার।
আরও পড়ুন জেলার খবর কলকাতা দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তর ২৪ পরগনা হাওড়া নদিয়া মুর্শিদাবাদ পূর্ব বর্ধমান পশ্চিম বর্ধমান ঝাড়গ্রাম পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া বাঁকুড়া হুগলি বীরভূম মালদহ উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুর জলপাইগুড়ি শিলিগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহার