Suvendu Adhikari কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছন্দা সরকারের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তোলা চাওয়ার অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ছন্দা। পাশাপাশি, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে সমাজমাধ্যমে শুভেন্দু একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। ভিডিয়োতে শুধু ছন্দাকে দেখা গেলেও, ওই ঘরে যে আরও কয়েক জন ছিলেন তা স্পষ্ট।
তবে তাঁদের কাউকেই দেখা যায়নি ভিডিয়োতে। কোনও এক প্রোমোটারের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত আলোচনার সময়েই ওই ভিডিয়ো তোলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। সেখানে ছন্দাকে কারও (দাবি প্রোমোটার) কাছে টাকা চাইতে শোনা গিয়েছে। ভিডিয়োতে ছন্দাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ঘনশ্রী (১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আগের কাউন্সিলর) কত করে নিতেন?’’ তাঁর উত্তরে কেউ এক জন জানান, ‘‘স্কোয়্যার ফুট হিসাবে ১৫০ টাকা!’’ ছন্দাকে সেই টাকা কমিয়ে দিতে শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ৮০ টাকা করে দিলেই হবে। তোমরা কাজ করো।’’ শেষ পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে এক লাখ টাকার ‘চুক্তি’ হয়।
ছন্দার দাবি, এক লাখ দিয়ে কাজ শুরু করুক। তাঁর কোনও আপত্তি নেই। যদিও তোলা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছন্দা। তাঁর পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী জানান তিনি কোথা থেকে এই ভিডিয়ো পেয়েছেন। আমি তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।’’ দলের সঙ্গে আলোচনা করেই ওই ভিডিয়ো নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়েছেন ছন্দা।
শুভেন্দুর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘‘যদি সৎ সাহস থাকে তো যিনি ভিডিয়ো করেছেন, তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনুক।’’ পরে শুভেন্দু সংবাদমাধ্যমের সামনে আবার সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে দাবি করেন, ‘‘তৃণমূল মানেই চোর। কোনও পরিবর্তন হয়নি।’’ উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডটি ১৬ নম্বর বরোর অংশ। পশ্চিম বড়িশা ও দক্ষিণ বেহালা রোড এবং ঠাকুরপুকুরের কিছু অংশ এই ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। ২০২১ সাল পর্যন্ত এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তৃণমূলের ঘনশ্রী বাগ। পরে এই ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় তৃণমূল ২০২১ সালের পুরসভা নির্বাচনে ছন্দাকে প্রার্থী করে। প্রথম বার ভোটে জিতেই জয় পান তিনি। অন্য দিকে, ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছিল ঘনশ্রীকে।