Siliguri News মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের তরফে চালু করা হয়েছে পিঙ্ক মোবাইল ভ্যান। অথচ সেই মোবাইল ভ্যানের ইনচার্জের বিরুদ্ধেই এবার মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করার অভিযোগ উঠল। বুধবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুলু বাধল শিলিগুড়ির (Siliguri) চম্পাসারির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরের মাঠে। অভিযোগ, টলমল পায়ে এক মহিলাকে চুমু খেতেও এগিয়ে যান এএসআই তানিয়া রায়। ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই না করলেও Siliguri News শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশ ইতিমধ্যে ওই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। ডিসিপি (ওয়েস্ট) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলছেন, ‘ভিডিওটি আমরা পেয়েছি।
গোটাটার তদন্ত চলছে। যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে।’ স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই রাতে অন্ধকারে মাঠে বসেছিলেন এক তরুণ, তরুণী। স্থানীয়দের কিছু একটা সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পিঙ্ক ভ্যানে খবর দেন। খানিক বাদেই তানিয়া রায়ের নেতৃত্বে পিঙ্ক ভ্যান ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। গাড়ি থেকে নেমেই ওই তরুণ-তরুণীকে লাঠি পেটা করেন এএসআই। এরপর খবর দেন অভিভাবকদের। অভিভাবকরা আসার পরই পটপরিবর্তন ঘটে।
অভিভাবকরা অভিযোগ করতে থাকেন, ওই এএসআই (ASI) নিজেই মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন। এমনকি এসংক্রান্ত একটি ভিডিও করেন কয়েকজন। স্থানীয়রা যখন অভিযোগ করছিলেন, তখন বেশ অস্বস্তিতেই দেখা গিয়েছে ওই এএসআইকে। কথা কাটাকাটির মাঝে হঠাৎই পুলিশকর্মী সামনে থাকা এক মহিলার ঘাড় ধরে টেনে চুমু খাওয়ার ভঙ্গিতে মুখে গন্ধ শোঁকাতে যান, যা দৃশ্যতই অশ্লীল বলে মানছেন পুলিশকর্তারা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে মেট্রোপলিটান পুলিশ। ওই এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ দাস বলছেন, ‘ওঁর মুখ থেকে মদের গন্ধ বের হচ্ছিল।
এরপর চেপে ধরতেই উনি পালানোর চেষ্টা করেন।’ এদিকে, ওই এএসআইকেও পালটা হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্ট ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা মেয়র পারিষদ দিলীপ বর্মন। তাঁর কথায়, ‘যদি ওই মহিলা পুলিশকর্মী মদ্যপ অবস্থায় থাকেন, তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে ওই মহিলা এএসআইকেও কিন্তু হেনস্তা করা হয়েছে।’ বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয়রা যখন ঘিরে ধরে এএসআইকে প্রশ্ন করছেন, ‘আপনি মদ খেয়ে রয়েছেন’ তখন বাকি পুলিশকর্মীরাও তার কোনও প্রতিবাদ করছেন না।
মিনিট খানেকের বিবাদের পরই কোনওমতে গাড়িতে উঠে সেখান থেকে সরে পড়ার চেষ্টাও করেন পুলিশকর্মী। কমিশনারেট সূত্রে খবর, ওই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে এর আগেও অভব্য আচরণের অভিযোগে তদন্ত হয়েছিল। তখন তিনি প্রধাননগর থানায় কর্মরত ছিলেন। সেবার অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছিল। বেশ কিছুদিন বিভাগীয় তদন্ত চলেছিল। বর্তমানে পুলিশ লাইনে থাকলেও রোটেশনের ভিত্তিতে পিঙ্কভ্যানের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু তাতেই নতুন করে মুখ পুড়ল পুলিশের।
আরও পড়ুন জেলার খবর কলকাতা দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তর ২৪ পরগনা হাওড়া নদিয়া মুর্শিদাবাদ পূর্ব বর্ধমান পশ্চিম বর্ধমান ঝাড়গ্রাম পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া বাঁকুড়া হুগলি বীরভূম মালদহ উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুর জলপাইগুড়ি শিলিগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহার