বেঙ্গালুরুতে Bengaluru হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মাণাধীন ৭ তলা বাড়ি। ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ জন গুরুতর জখম। ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাতজনকে। মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (পূর্ব Bengaluru বেঙ্গালুরু) ডি দেবরাজা। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের হোসমত ও নর্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি চলছে বেঙ্গালুরুতে। এর মধ্যেই এমন ঘটনা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।
তিনি বলেছেন, বেআইনি নির্মান চলছিল। বাড়ি ভেঙে পড়ার সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, খেলনা ঘরের মতো আচমকা উল্টে পড়ল ৭ তলা বাড়িটি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় মৃত ৫ জন হলেন হরমন (২৬), ত্রিপাল (৩৫), মহম্মদ সাহিল (১৯), সত্য রাজু (২৫) এবং শঙ্কর। শঙ্করের বয়স জানা যায়নি। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে আসে দমকল এবং এমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্ট। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (পূর্ব বেঙ্গালুরু) ডি দেবরাজাও।
তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ২০ জন আটকে পড়েছিলেন। ১৪ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালেও উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। এদিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি লিখেছেন, “নির্মাণাধীন ভবন ভেঙে পড়ার পর গত রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। শ্রমিকরা কমমানহাল্লির বাবুসাব পালিয়াতে ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে পড়েছিলেন। ৬০/৪০ জমিতে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ গুরুতর অপরাধ।
বাড়ির মালিক প্ল্যান অনুমোদন না করিয়েই বাড়ি নির্মাণ করছিলেন। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সঙ্গে তিনি আরও লেখেন, “বেঙ্গালুরুতে বিনা অনুমতিতে বেআইনিভাবে নির্মিত বাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এই ঘটনায় আমাদের বড় শিক্ষা হল। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য বাড়ি তৈরির আগে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। নির্মাণাধীন ভবনগুলি পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি দল মোতায়েন করা হচ্ছে।” এর আগে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় শিবকুমার বলেছিলেন, “আমাকে বলা হয়েছে, কোনও অনুমতি ছাড়াই বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। বেআইনি কার্যকলাপ চলছিল। আমরা মালিক, ঠিকাদার (ভবনের) এবং সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
আরও পড়ুন জেলার খবর কলকাতা দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তর ২৪ পরগনা হাওড়া নদিয়া মুর্শিদাবাদ পূর্ব বর্ধমান পশ্চিম বর্ধমান ঝাড়গ্রাম পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া বাঁকুড়া হুগলি বীরভূম মালদহ উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুর জলপাইগুড়ি শিলিগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহার