আগরতলা : ত্রিপুরার Tripura ইতিহাসে সর্বকালীন বৃহত্তর বৈরী আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হল আজ। এই দিন NLFT ও ATTF এর বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৫৮৪ জন সদস্য আত্মসমর্থনের মাধ্যমে মুল ধারায় ফিরে এসেছেন। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার হাতে অস্ত্রগুলি তুলে দিয়েছেন আত্মসমর্পণকারী বৈরীরা। ত্রিপুরার Tripura সিপাহীজলা জেলার জম্পুই জলার সপ্তম বাহিনী টিএসআর সদর দপ্তরে এই আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় ।
এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অমিতাভরঞ্জন ,ডিজিপি (গোয়েন্দা) অনুরাগ, রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, স্বরাষ্ট্র সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী ,সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকেরা। এই দিন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে একসঙ্গে অস্ত্র তুলে তুলে দিলেন এনএলএফটি pd, এনএলএফটি bm, এনএলএফটি ori এবং এটিটিএফ, এর নেতৃত্বরা।
উল্লেখ্য গত ৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ ত্রিপুরার নিষিদ্ধ বৈরী সংগঠন এনএলএফটি এবং এটিটিএফের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা আজ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে অস্ত্রগুলি তুলে দিয়ে, আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। উল্লেখ্য এই চুক্তির কারণে তাদেরকে দিল্লিতে ওই বৈঠকে তাদের সার্বিক কল্যাণ ২৫০ কোটি টাকার একটি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল।
আজ এই আত্মসমর্পণকারী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে প্রথম অস্ত্র তুলে দেন বিশ্ব মোহন গোষ্ঠীর সর্বাধিক অধিনায়ক বিশ্ব মোহন দেববর্মা, পরিমল দেববর্মার গ্রুপের সর্বাধিক অধিনায়ক পরিমল দেববর্মা, তারপর ওআরআই গ্রুপের সর্বাধিক অধিনায়ক প্রসেনজিৎ দেববর্মা, এটিটিএফ গ্রুপের সর্বাধিক অধিনায়ক অলিন্দ দেববর্মা। এদিন এই আত্মসমর্পণকারী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন উগ্রপন্থার সমস্যা থেকে এখন সম্পূর্ণ মুক্ত ত্রিপুরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি, Tripura ত্রিপুরাতেও উগ্রপন্থা দমনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বিগত কয়েক বছরে। এরই একটি প্রতিফলন ত্রিপুরায় এনএলএফটি এবং এটিটিএফ বৈরী গোষ্ঠীর ৫৮৪ সদস্যের আত্মসমর্পণ করেছেন।আজকের এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান শান্তি চুক্তির ফলাফল।
যা শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ত্রিপুরার এগিয়ে চলার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। যতক্ষণ শান্তি সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলা আসবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সমৃদ্ধি আসবে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দেন। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা লক্ষ্য করছি যে উত্তর পূর্বাঞ্চল একটা সময় সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত থাকলেও এখন এই সমস্যা থেকে প্রায় মুক্ত হয়েছে।