south 24 parganas news পূর্ণিমার কটালে বেড়েছে নদীর জল। তার জেরে শুক্রবার রাতে আচমকা বাঁধ উপচে নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হলো সাগরের চকফুলডুবি এলাকা। মুড়িগঙ্গা নদীর নোনা জল ঢুকে পড়ায় চাষের জমি, ফিশারি, পুকুর, পানের বরোজের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা এলাকার বাসিন্দাদের। খবর পেয়ে শনিবার সকালে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সাগর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল সামির শাহ, পঞ্চায়েত প্রধান গোবিন্দ মণ্ডল-সহ সাগর ব্লক প্রশাসনের কর্মীরা।
শুক্রবার রাতে জোয়ারের সময় চমকা মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ উপচে এবং ফাটল দিয়ে জল ঢুকতে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। রাতেই নদী তীরবর্তী এলাকার বহু বাসিন্দা বাড়ি থেকে বেরিয়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেন। বাঁধ ছাপানো জলে ৫০ বিঘেরও বেশি চাষের জমি, বাগান, পুকুর, পানের বরোজ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাতেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের পাঠানো হয় এলাকায়।
খুঁজে বের করা হয় নদী বাঁধের ফাটল। এবং নিচু বাঁধের অংশ চিহ্নিত করা হয়। এদিন সকাল থেকে এলাকার জমা জল নামতে শুরু করে। সেচ দপ্তরের কর্মীরাও ফাটল মেরামতের কাজে হাত লাগায়। আগামী দিনে পরিকল্পনা করে বাঁধের নিচু অংশ উঁচু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে নদীর নোনা জল ঢুকে পড়ায় আগামী বেশ কয়েকটি মরশুমে বিঘের পর বিঘে জমিতে ধান চাষের পাশাপাশি সব্জির বাগান চাষ, মিষ্টি জলের পুকুরে মাছ চাষ এবং পান চাষ করা সম্ভব নয়। বাসিন্দাদের দাবি, ‘ক্ষতিপূরণ দেওয়া দেওয়া হোক কৃষকদের। তা না হলে এলাকার বাসিন্দারা কৃষিকাজে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।’
পূর্ণিমার কটালে Sundarbans সুন্দরবনের নদীগুলিতে জলস্তর বাড়ায় একাধিক জায়গায় মাটির বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। নদীর চরেও ধস নেমে ফাটল দেখা দিয়েছে কংক্রিটের রাস্তাতেও। Gosaba গোসাবার কুমিরমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙনখালিতে শার্শা নদীর বাঁধে ১০০ ফুটের বেশি ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বুধবারের বাজারে বাগনা নদীর চরের বেশ অনেকটাই অংশ তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে।
পাশের আমতলি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুঁইজালি গ্রামের হরিতলা এলাকায় ও ৫৫ মিটার রায়মঙ্গল নদীর চর একেবারে শনিবার তলিয়ে গিয়েছে। ছোট মোল্লাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিদাসপুরেও শার্শা নদীর চরে ১০০ মিটার অংশ সরাসরি নেমে গিয়েছে নদীতে। গোমর নদীর চরের অনেকটাই তলিয়ে গিয়েছে নদীর গর্ভে।
গোসাবার Gosaba একের পর এলাকায় এ ভাবে নদী বাঁধের ফাটল ও চর নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দিনভর বিভিন্ন জায়গায় বাঁধের ফাটল মেরামতের কাজ শুরু হয়। সেচ দপ্তরের Gosaba গোসাবা ডিভিশনের এসডিও শুভদীপ দালাল বলেন, ‘এ বার ষাঁড়া ষাঁড়ির কটালের থেকে পূর্ণিমার কটালে জলস্ফীতি বেড়েছে। তার ফলেই বিভিন্ন জায়গায় মাটির নদী বাঁধের ফাটল ও চরে ধস নেমেছে।’
আরও পড়ুন জেলার খবর কলকাতা দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তর ২৪ পরগনা হাওড়া নদিয়া মুর্শিদাবাদ পূর্ব বর্ধমান পশ্চিম বর্ধমান ঝাড়গ্রাম পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া বাঁকুড়া হুগলি বীরভূম মালদহ উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুর জলপাইগুড়ি শিলিগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহার