
Alapan Bandyopadhyay
আর জি কর ইস্যুতে চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের Resignation গণইস্তফা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্য সরকার। শনিবার সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা Alapan Bandyopadhyay আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, নিয়ম অনুযায়ী ইস্তফা ব্যক্তিগত বিষয়। নিয়োগকর্তাকে কারণ-সহ ইস্তফাপত্র দিতে হবে ব্যক্তিগতভাবে।
নাহলে তা পদত্যাগ হিসেবে গণ্য হবে না। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের গণইস্তফা বলে যা বলা হচ্ছে, তা সরকার গ্রহণ করছে না। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১০ দফা দাবিতে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে আমরণ অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকরা। উৎসবের মাঝে ধর্মতলার মঞ্চে এই মুহূর্তে ৮ জন জুনিয়র চিকিৎসক অনশন করছেন। চলতি সপ্তাহেই তাঁদের সমর্থনে আর জি কর, এসএসকেএম-সহ একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণইস্তফার পথে হেঁটেছেন।
আগেই অবশ্য তাঁরা Resignation গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরাও গণইস্তফা দিয়েছেন। সবমিলিয়ে এই সংখ্যা একশোর বেশি। তবে সকলেই জানিয়েছিলেন, সরকার তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাঁরা পরিষেবা চালিয়ে যাবেন। তাঁদের এই ইস্তফাপত্র সরকার গ্রহণ করছে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা।
শনিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে Alapan Bandyopadhyay আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “প্রতি ক্ষেত্রে Resignation গণইস্তফার কথা উল্লেখ রয়েছে। সার্ভিস রুল অনুসারে, ইস্তফাপত্র ব্যক্তিগতভাবে দিতে হয়। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে এধরনের গণইস্তফা জমা পড়েছে। অনেক জায়গায় তার প্রতি পাতায় স্বাক্ষরও নেই। এটা একটা সমবেত আবেদনপত্র মাত্র। নিয়োগকর্তার কাছে নিযুক্তকে ব্যক্তিগতভাবে ইস্তফাপত্র জমা দিতে হয়, ব্যক্তিগত কারণ জানিয়ে। সুতরাং, গণইস্তফার নামে যা জমা পড়েছে, তা গ্রাহ্য নয়। এনিয়ে সরকার বিভ্রান্তি দূর করতে চায়।”