কল্যাণীতে জেসিবি দিয়ে রাতের অন্ধকারে ভেঙে ফেলা হল বেআইনি নির্মাণ

কল্যাণীতে জেসিবি দিয়ে  রাতের অন্ধকারে ভেঙে ফেলা হল বেআইনি নির্মাণ

রাতের অন্ধকারে ভেঙে ফেলা হল বেআইনি নির্মাণ। জেসিবি দিয়ে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল কল্যাণী পুরসভা। ভেঙে ফেলা হল কংগ্রেস পার্টি অফিসও। যদিও, বিনা নোটিসেই এই কাজ হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। নদিয়ার কল্যাণী ২ নম্বরের বাজারের ঘটনা। পুরসভা সূত্রে খবর, কল্যাণী ২ নম্বর বাজারের দোকানগুলির সামনে রয়েছে ড্রেন করার জায়গা।

অভিযোগ, দোকানদাররা দীর্ঘদিন ধরে সেই ড্রেনের জায়গায় বেআইনিভাবে দোকান নির্মাণ করেছেন। শুধু তাই নয়, দোকানের সামনেও রীতিমতো প্লাস্টার করে বাঁধিয়ে ফেলেছেন অনেকে। এদিকে পুরসভা সূত্রে খবর, যেটুকু জায়গা দোকানদাররা বেআইনিভাবে নির্মাণ করেছেন শুধু সেইটুকু অংশ ভাঙা হয়েছে। কিন্তু রাত্রিবেলাই কেন ভাঙা হল বেআইনি নির্মাণ?

সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বপন সাহা নামে এক দোকানদার। তাঁর অভিযোগ, বিনা নোটিসেই ভাঙা হয়েছে তাঁদের দোকানের সামনের অংশ। যদিও এই প্রসঙ্গে কল্যাণী পুরসভার পূর্ত দফতরের চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সকালে বাজারে জনসমাগন থাকে। তাই রাতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। এছাড়া দোকানদারদের মৌখিক ভাবে, মাইকিং করে জানানো হয়েছে বেআইনি দোকানগুলি ভেঙে ফেলার জন্য।

দেওয়া হয়েছে সময়ও। কিন্তু অনেকেই তাতে গুরুত্ব দেননি। তাই তাঁদের দোকানের সামনের বেআইনি অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’ এরপর কংগ্রেস পার্টি অফিস ভেঙে ফেলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের নেতাদেরও বলা হয়েছিল পার্টি অফিস সরিয়ে নিতে। তারাও কর্ণপাত করেননি। তাই ভাঙা হয়েছে পার্টি অফিসও।”

অরূপবাবু আরও জানান, “ড্রেনের জায়গায় অবৈধ নির্মাণের অংশটুকুই ভাঙা হয়েছে। ক্লিন সিটি গড়ার একমাত্র লক্ষ্য কল্যাণী পুরসভার।” এই বিষয়ে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা বলেন, “আমরা জাতীয় দল। তৃণমূল আমাদের সব জায়গা নিয়ে নিয়েছে। এখন কোথায় যাব? কোথায় বসব? আমরা কল্যাণীর উন্নয়নের বিরোধী নই।

কিন্তু আমাদের একটা বসার জায়গা দিতে হবে তো!” যদিও, এই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলায় খুশি অনেকেই। তাঁদের দাবি, ভালো কাজের জন্য এবং কল্যাণী শহরকে নির্মল শহর গড়ে তুলতে তাঁরা সবসময় কল্যাণী পুরসভার পক্ষে থাকবেন বলেই জানিয়েছেন।