নদিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান

নদিয়া জেলার দর্শনীয় স্থান

নদিয়া জেলা  Nadia District নদীয়া জেলা,পূর্বনাম নবদ্বীপ জেলা। ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় নদিয়া হিন্দু ধর্মালম্বিদের জন্য একটি তীর্থস্থান। রাজা বল্লাল সেন নদিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাচীন বাংলার হিন্দু রাজারা গৌড়ের পাশাপাশি নদিয়াতেও অবস্থান করতেন। রাজা বল্লাল সেন তার শাসনামলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভাগীরথী নদীতে তীর্থস্নান করার উদ্দেশ্যে আসতেন।

তিনি এই নদীর তীরে পঞ্চরত্ন নামে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২২ ও ১৯৫৮ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত ভূমি জরিপ ম্যাপে একই সময়ে খননকৃত একটি দীঘির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মুসলিম সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী কর্তৃক বিজিত হওয়ার আগে অবধি নদিয়া বাংলার রাজধানী ছিল। নদীর পশ্চিম তীরে প্রাচীর বেষ্টিত একটি নগরীতে রাজপ্রাসাদ, হারেম, বাজার ও বাসস্থান ছিল। ধারণা করা হয় যে, তিব্বত, নেপাল ও ভূটানের সাথে নদিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল।

১৮৬৯ সালে নদিয়া পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।  ইংরেজ আমলে অবিভক্ত নদিয়া জেলা কৃষ্ণনগর সদর, রাণাঘাট, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা এই পাঁচটি মহকুমায় বিভক্ত ছিল। দেশভাগের পরে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা এই তিনটি মহকুমা তৎকালীন পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত হয়। পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্সি বিভাগের একটি জেলা Nadia নদীয়া । এই জেলার উত্তর-পশ্চিমে ও উত্তরে মুর্শিদাবাদ জেলা; পূর্ব সীমান্তে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ, দক্ষিণ-পূর্বে ও দক্ষিণে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা এবং পশ্চিমে হুগলি ও বর্ধমান জেলা অবস্থিত। নদিয়া একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল।

১৭৮৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বকালে জেলা হিসেবে নদিয়ার আত্মপ্রকাশ। সে সময় বর্তমান হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশ এই জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট সাময়িকভাবে এই জেলা পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। তিন দিন বাদে ১৮ আগস্ট কিয়দংশ বাদে নদিয়া পুনরায় ভারত অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নদিয়া জেলা তার বর্তমান রূপটি লাভ করে।

১৯৪৭ সালে সাময়িকভাবে জেলার নামকরণ নবদ্বীপ করা হলেও অনতিবিলম্বেই সেই নামকরণ বাতিল হয়। নদিয়া মূলত একটি কৃষিপ্রধান জেলা। স্বাধীনতার পর বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে কল্যাণী নগরীকে কেন্দ্র করে একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে এই জেলায়। এছাড়া ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পেও এই জেলার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। বাঙালি হিন্দু সমাজে নদিয়া জেলা গৌড়ীয় বৈষ্ণব আন্দোলনের প্রাণপুরুষ চৈতন্য মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত।

জেলায় দর্শনীয় স্থান 

নবদ্বীপ   ভাগীরথী নদীর পশ্চিম পার্শ্বে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কৃষ্ণনগর থেকে এবং এটি ভগবান শ্রীচৈতন্যের জন্ম এবং বাংলায় বৈষ্ণব ধর্মের আবির্ভাবের সাথে জড়িত। শ্রীচৈতন্য কেবল বৈষ্ণব ধারণা এবং ভক্তি ধর্মের প্রচারকারী ধর্মীয় নেতাই ছিলেন না, তিনি ১৬ তম শতাব্দীতে একজন সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। নবদ্বীপ লক্ষ্মণসেনার রাজধানী ছিলেন, সেন রাজবংশের বিখ্যাত শাসক, যিনি ১১৭৯ থেকে ১২০৩ সাল পর্যন্ত শাসন করেছিলেন। এখানে বেশ কয়েকটি মন্দির এবং তীর্থস্থান রয়েছে। ১৮৩৫ সালে দুর্দান্ত ফুলের নকশা দিয়ে নির্মিত দ্বাদশ শিব মন্দিরটি প্রচুর পরিমাণে তীর্থযাত্রীদের আকর্ষণ করে। অন্যান্য কয়েকটি স্থানে ভগবান শ্রীচৈতন্যের চিত্র ও প্রতিমাগুলিও শ্রদ্ধার সাথে বিবেচিত হয়। 

শান্তিপুর    শান্তিপুর নবম শতাব্দী থেকে সংস্কৃত শিক্ষা ও সাহিত্য, বৈদিক গ্রন্থ এবং ধর্মগ্রন্থের কেন্দ্রস্থল ছিল। এটি জেলার রানাঘাট মহকুমায় অবস্থিত এবং প্রায় 18 কিমি কৃষ্ণনগর থেকে দূরে। নদীয়ার শান্তিপুর একটি সুপ্রাচীন ও ঐতিহাসিক গঙ্গা (সুরধনী) তীরবর্তী জনপদ। প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন এই জনপদ বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতির পীঠস্থান ও বিখ্যাত তাঁত শিল্পের সূতিকাগার।

মহাপুরুষ চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষাগুরু অদ্বৈত আচার্যর সাধনপীঠ শান্তিপুর স্টেশনের নিকটবর্তী বাবলা গ্রামে বলে কেউ কেউ মনে করেন ।যদিও অদ্বৈত মহাপ্রভুর আদি বাড়ি শান্তিপুর শহরের দক্ষিণে গঙ্গা গর্ভে বিলীন বলে গবেষকদের অভিমত। চৈতন্যদেব, নিত্যানন্দ মহাপ্রভু ও অদ্বৈতাচার্যের মিলন ঘটেছিল এই শান্তিপুরে। সন্ন্যাস গ্রহণের পর এই শান্তিপুরেই চৈতন্যের সঙ্গে দেখা হয়েছিল শচীমায়ের। অদ্বৈতাচার্যের বংশেই জন্ম আরেক বৈষ্ণবসাধক বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর। তারও স্মৃতিমন্দির রয়েছে শান্তিপুরে।

শান্তিপুরের কাছে হরিপুর গ্রামে কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের পৈত্রিক বাসভূমি এবং শান্তিপুর মিউনিসিপাল স্কুলের পাশে কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফুলিয়ায় আদি কবি রামায়ণ রচয়িতা কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থান। অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর কবিগানের একজন বাধনদার সাতু রায় ও পণ্ডিত হরিমোহন প্রামাণিক এর বাড়িও শান্তিপুর। এছাড়া শান্তিপুরের রাসযাত্রা জগৎ বিখ্যাত এবং দোলযাত্রা, সূত্রাগড় জগদ্ধাত্রী পূজা, হরিপুরের রামনবমী ও অদ্বৈত প্রভুর জন্মতিথি মাঘি সপ্তমী বা মাকড়ি সপ্তমী, বৈশাখ মাসের শেষে রবিবার মুসলিম সম্প্রদায়ের গাজী মিয়ার বিয়ে এখানকার উল্লেখযোগ্য উৎসব। 

বড়গোস্বামী বাড়ি সহ বিভিন্ন গোস্বামী বাড়ি ও গোকুলচাঁদের আটচালা মন্দির এবং অদ্বৈত পৌত্র মথুরেশ গোস্বামী প্রতিষ্ঠিত বড় গোস্বামী বাড়িতে হাজার বছরের প্রাচীন কষ্টি পাথরের রাধারমণ বিগ্রহ (শান্তিপুরের বিখ্যাত রাস উৎসব এই রাধারমন বিগ্রহকে কেন্দ্র করেই সূচনা হয়) এবং অদ্বৈত মহাপ্রভু আনীত নেপালের গণ্ডকী নদী থেকে প্রাপ্ত নারায়ণ শিলা এবং শান্তিপুরের একমাত্র চৈতন্যদেবের ষড়ভূজ মূর্তি বর্তমান। 

বল্লাল ঢিপি   নদিয়ার অন্যতম প্রত্নস্থল। নবদ্বীপের নিকটবর্তী মায়াপুরে কাছে বামুনপুকুরে ভক্ত চাঁদকাজীর সমাধিস্থল থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে বল্লাল ঢিপির অবস্থান। এই ঢিপির নিচে বল্লাল সেনের আমলে নির্মিত প্রাসাদ ছিল বলে অনুমান করা হয়। তবে বর্তমানে এটি পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইন অনুসারে এই অঞ্চল সংরক্ষিত করা হয়েছে। বল্লাল ঢিপি প্রায় চারশো ফুট প্রশস্থ ও উচ্চতায় পঁচিশ থেকে ত্রিশ ফুট।

ঢিপিটি সবুজ ঘাসে মোড়া, আর চারিদিক কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা রয়েছে। সেন বংশের রাজা বল্লাল সেনের নামানুসারে এই ঢিপিটির নামকরণ করা হয়েছিল। উৎখননের আগে অনেক ইতিহাসবিদ এটিকে সেন রাজাদের রাজধানী হিসাবে মনে করতেন কিন্তু বর্তমানে তা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে।বিজয় নগর বা বিজয়পুর ছিল সেই সময়ের একটি অত্যাধুনিক শহর ও সেন বংশের রাজধানী যার অবস্থান এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত নয় । বিজয়পুর স্থাপন করেন বল্লাল সেনের পিতা রাজা বিজয় সেন।

শিবানীবাস    শিবানীবাস সদর সাব-ডিভিশনের কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মধ্যে অবস্থিত এবং এটি প্রায় 26 কি.মি. কৃষ্ণনগর থেকে দূরে। বর্গি এবং মারাঠি হানাদারদের আক্রমণের পূর্বাভাস দিয়ে, রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র রায় (১৭২৮ - ১৭৮২) সাময়িকভাবে কৃষ্ণনগর থেকে এই স্থানে তার রাজধানী স্থানান্তর করেন। ভগবান শিবের নামে নামকরণ করা রাজ রাজেশ্বর মন্দিরটি ১৭৫৪ সালে তাঁর দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দিরে স্থাপিত শিবলিঙ্গ এশিয়ার বৃহত্তম বলে মনে করা হয়। রাগনিশ্বর মন্দির এবং ১৭৬২ সালে নির্মিত রাম-সীতা মন্দির রাজ রাজেশ্বরী মন্দিরের পাশাপাশি একটি যৌথ কাঠামো তৈরি করে, স্থানীয়ভাবে বুরো-শিব মন্দির নামে পরিচিত। এই মন্দিরের স্থাপত্যে গথিক প্রভাব রয়েছে।

কৃষ্ণনগর   কৃষ্ণনগর জালঙ্গী নদীর তীরে অবস্থিত জেলা সদর। কৃষ্ণনগরের নামকরণ করা হয়েছে রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র রায় (১৭২৮ - ১৭৮২) এর নামে। রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র রায়ের রাজত্বকালে এখানে নির্মিত রাজবাড়িটি পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান হিসাবে চিহ্নিত যদিও অতীতের গৌরবটির অবশেষগুলি নষ্ট হয়ে গেছে এবং এর অভ্যন্তরীণ দেয়ালগুলিতে খোদাই করা সূক্ষ্ম জায়গাগুলির কেবল একটি জরাজীর্ণ কাঠামো রয়েছে। কৃষ্ণনগর হলেন প্রখ্যাত কবি, সুরকার ও নাট্যকার শ্রী দ্বিজেন্দ্র লাল রায় (১৮৬৩ - ১৯১৩) এর জন্মস্থান, যার বাংলা সাহিত্যে অবদানের উল্লেখ করার দরকার নেই। খ্রিস্টান মিশনারিরা কৃষ্ণনগরের সাথে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চটি এখানে ১৮৪০ এর দশকে নির্মিত হয়েছিল। রোমান ক্যাথলিক ক্যাথেড্রাল ১৮৯৮ সালে নির্মিত হয়েছিল। কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত মাটির মডেলের উত্স হলেন ঘূর্ণি। ঘুরনির মাটির মডেল শিল্পীরা মাটির মডেলিংয়ের দক্ষতার জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন।

 বেথুয়াদহরি  প্রায় ৬৭ হেক্টর জুড়ে একটি বন বেথুয়াদহরিতে অবস্থিত যা প্রায় ২২ কিমি দূরত্বে অবস্থিত। কৃষ্ণনগর থেকে। এই বন আসলে একটি বর্ধিত হরিণ পার্ক। কেন্দ্রীয় গাঙ্গেয় পলি অঞ্চলের জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য ১৯৮০ সালে বনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৯৮ সালের আদমশুমারি এই বনে ২৯৫টি হরিণের জনসংখ্যা প্রকাশ করে এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে পাইথন, জঙ্গল বিড়াল, সজারু, মনিটর লিজার্ড, সাপ এবং বিভিন্ন ধরণের পাখি (প্রায় ৫০টি প্রজাতি) 

পলাশী – এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ স্থল যেখানে সিরাজ-উদ-দৌলা ব্রিটিশদের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন।১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর আমবাগানে মুর্শিদাবাদের নবাব সিরাজদ্দৌলার সঙ্গে রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ পলাশীর যুদ্ধ নামে পরিচিত।এই যুদ্ধে জয়লাভ করে ইংরেজরা আস্তে আস্তে সারা ভারতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে। পলাশীর যুদ্ধই পলাশী গ্রামকে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। ইংরেজ রাজত্বে পলাশী বাংলা প্রদেশের (অধুনা পশ্চিমবঙ্গের) নদিয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়।যুদ্ধের স্মৃতিতে পলাশীতে একটি স্তম্ভ প্রোথিত করা হয় যা পলাশী মনুমেন্ট নামে পরিচিত। ১৯৯৮ সালে স্থানীয় চিনিকলের মালিক খৈতান গোষ্ঠী এই গ্রামের নাম পালটে "খৈতান নগর" রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয় সংবাদপত্র ও বুদ্ধিজীবীরা এর প্রতিবাদ জানালে তারা সেই পরিকল্পনা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

মঙ্গলদ্বীপ চর,  মঙ্গলদ্বীপ চর যা রানাঘাট-১ ব্লকের ভাগীরথী এবং চূর্ণীর সঙ্গমস্থলে উদ্ভূত হয়েছে, এটি মুর্শিদাবাদের নদী ক্রুজ বরাবর একটি ট্যুরিস্ট ট্রানজিট পয়েন্ট-কাম-রিসর্ট হিসাবে গড়ে উঠতে পারে।

মায়াপুর  ভাগীরথীর পূর্বদিকে অবস্থিত এখানকার মায়াপুর পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র।এখানে অবস্থিত ইসকন  প্রতিষ্ঠিত চন্দ্রোদয় মন্দির এই জেলার মূল আকর্ষন। মায়াপুরের প্রধান উৎসবগুলি হল চন্দনযাত্রা, স্নানযাত্রা,রথযাত্রা , ঝুলনযাত্রা ,জন্মাষ্টমী ,রাধাষ্টমী, রাসযাত্রা, দোলযাত্রা প্রভৃতি।  মায়াপুর ভাগীরথী নদীর ওপারে নবদ্বীপের বিপরীতে অবস্থিত। কিছু কিছু বিদ্যালয় এই জায়গাটিকে ভগবান শ্রীচৈতন্যের আসল জন্মস্থান বলে দাবি করে। এ.সি.ভক্তিবেদান্তের ইসকন মন্দির, সরস্বত অদ্বৈত মঠ এবং চৈতন্য গৌড়িয়া মঠ মায়াপুরের গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। হোলির (দোল) উত্সব চলাকালীন রাশযাত্রা মায়াপুর নিজেকে সম্প্রীতি, মাতৃত্ব, ভ্রাতৃত্ব এবং উত্সবের কেন্দ্র হিসাবে উপস্থাপন করে।