লিভার ঠিকমত কাজ করছে না যে লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন
খাবার হজম করানোর জন্য প্রয়োজনীয় পিত্তরস তৈরি করা থেকে শুরু করে ডিটক্সিফিকেশন- লিভারের কিন্তু একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। এছাড়াও আমাদের যাবতীয় বিকার ক্রিয়া সম্পন্ন হয় এই লিভারের মাধ্যমেই। আর তাই যদি একবার লিভার বিগড়ে যায় তাহলে কিন্তু অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার উপরেও তার প্রভাব পড়ে। আর তাই লিভারের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
লিভারে কোনও সমস্যা দেখা দিলে প্রথম থেকেই চিকিত্সা করান। চিকিত্সা সময় মতো না হলে লিভার ফেলিওয়ের মত ঘটনা ঘটতে পারে। সেউ সঙ্গে যদি সময়ে চিকিত্সা না হয় তাহলে মৃত্যু অবধারিত। সব সময় লিভার প্রতিস্থাপন করলেই যে তা সফল হবে এমন কিন্তু একেবারেই নয়। প্রাথমিক ভাবে লিভারের সমস্যা কিন্তু অনেকেই এড়িয়ে যান।
উপেক্ষা করেন। আর তাই রইল কয়েকটি সাধারণ লক্ষণের ইঙ্গিত। এই সব উপসর্গ থাকলে মোটেই উপেক্ষা নয়। গরমে বাড়ে জন্ডিসের সমস্যা। এছাড়াও জন্ডিস কিন্তু লিভারের সমস্যার ইঙ্গিত। যেখানে চোখ আর ত্বক হলুদ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে প্রস্রাবও কিন্তু হলুদ হয়। এতেই স্পষ্ট হয়ে যায় লিভারের কোনও সমস্যা হয়েছে। জন্ডিস তখনই হয় যখন যকৃত্ লোহিত রক্ত কণিকাকে ভেঙে ফেলে এবং তখন রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যায়।
এই বিলিরুবিন হল এক ধরণের পিগমেন্ট। লিভার বিলিরুবিন শোষণ করে এবং পিত্তে রূপান্তরিত করে, যা হজম প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় এবং অবশিষ্টাংশ মলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। লিভারের সমস্যা হলে কিন্তু প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও। ত্বকে যদি নিয়মিত ভাবে চুলকানির সমস্যা হয়, কোনও কারণ ছাড়াই যদি শরীরের বিভিন্ন অংশ চুলকোতে শুরু করে তাহলে বুঝতে হবে লিভারের সমস্যা হয়েছে।
এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই ত্বকের নীচে বেশি পরিমাণ পিত্ত লবণ জমে যায়। যেখান থেকে কিন্তু এই সমস্যা হয়। তবে এসব ছাড়াও থাকতে পারে অন্য লক্ষণ। লিভার থেকে যে পিত্তরস তৈরি হয় তার কাজ হল খাবার হজম করিয়ে দেওয়া। লিভার যখন ঠিকভাবে কাজ করে না তখন বোঝা যায় ক্ষুধামন্দার ইঙ্গিত দেখে। কোনও কিছুই খাওয়ার ইচ্ছে থাকে না।
সেই সঙ্গে ওজন কমে যাওয়া পেটে ব্যথা, বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া এসবও কিন্তু থাকে। অনেক সময় কোথাও পড়ে লেগে লিভারেও আঘাত লাগে। কিন্তু আমরা বিষয়টির দিকে যথাযথ নজর দিই না। লিভারে আঘাত লাগলে হঠাত্ করে বোঝাও যায় না। লিভারে আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয় এবং সেখান থেকে কিন্তু রক্ত প্রয়োজনে জমাটও বাঁধতে পারে না।
রক্তবাঁধার জন্য যে নির্দিষ্ট প্রোটিনের দরকার হয় তার অভাবের জন্যই রক্তবমি, মলের মাধ্যমে রক্তক্ষরণ এসব একাধিক সমস্যা আসে। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিত্সা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।