মালদহে মাটি মাফিয়াদের সঙ্গে নাম জোরালো শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতি সহ-সভাপতির

মালদহে মাটি মাফিয়াদের সঙ্গে নাম জোরালো শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতি সহ-সভাপতির

 তনুজ জৈন  মালদা : এবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে মাটি মাফিয়ার তালিকায় সরাসরি নাম জড়িয়ে গেল হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির শাসকদলের সহ-সভাপতি ফেসান আলীর। এলাকারই এক বৃদ্ধার চাষের জমি থেকে জোর-পূর্বক মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। বাধা দিতে গেলে সহ-সভাপতির হুমকির মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ।

এই নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বচসা তৈরি হয়। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা-জুড়ে। গোটা ঘটনায় শাসকদলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও পাল্টা সাফাই দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামে এক বৃদ্ধার জমিতে মাটি কাটার কথা ছিল।

কিন্তু সেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ফ্যাশন আলীর নেতৃত্বে জোরপূর্বক দুই ফিট এর জায়গায় ৫ থেকে ৭ ফিট মাটি কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জমির মালিক ওই বৃদ্ধা বাধা দিতে গেলে তাকে প্রাণ-নাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় লাগাতার মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে।

ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সরাসরি মাটি মাফিয়াদের মদদ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বহুবার। আর এর মধ্যেই এলাকার তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে মাটি খননের অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ফেশন আলী।

অন্যদিকে যদিও এ সম্পর্কে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তথা বন ও ভূমি কর্মাদক্ষ আদিত্য মিশ্র জানান এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয়কর্মী বলে কোন রেয়াত করা হবে না। আইন আইনের পথে চলবে। অপরদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক কিষান কেডিয়া। তিনি বলেছেন রাজ্য-জুড়ে দুর্নীতি চলছে। হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় মাটি মাফিয়ারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের কর্তারা জড়িয়ে আছেন। তৃণমূলের রাজ্যে এই দুর্নীতি সাধারন ব্যাপার।