বীরভূমে বিভিন্ন জায়গায় হাতির আগমন জেলায় আতঙ্ক

বীরভূমে বিভিন্ন জায়গায় হাতির আগমন জেলায় আতঙ্ক

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় চার চারটি হাতির আগমন হয়েছে। সংখ্যাটা কম হলেও বীরভূমের মত জেলার ক্ষেত্রে কিন্তু তা বেশ আতঙ্কের। কারণ বীরভূমে সাধারণত হাতি দেখা যায় না। সে জায়গায় ঘনঘন এইভাবে হাতির আগমনে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা । সম্প্রতি যে চারটি হাতির আগমন হয়েছে জেলায় তার মধ্যে তিনটি আগমন হয়েছে মাত্র তিন দিনের মধ্যে।

হাতি তাড়াতে গিয়ে একজন বন কর্মীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এরপরই সাধারণ মানুষকে সচেতন করছে বন দফতর। লোকালয়ে যদি হঠাত্‍ হাতির আগমন ঘটে তাহলে সাধারণ মানুষের কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়, পরামর্শ দিলেন বন আধিকারিক ডি. এম. প্রধান। লোকালয়ে হাতি এলে মানুষকে যে সব কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকতে হবে-- হাতির কাছাকাছি যাওয়া যাবে না।

ওর সঙ্গে ফটো তোলার চেষ্টা করবেন না। হাতিকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছোড়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এমন কিছু জিনিস নিয়ে যাওয়া যাবেনা যাতে তারা বিরক্ত হয়।হাতি উদ্ধার করার সময় বনকর্মীদের পরামর্শ অনুযায়ী হাতি থেকে দূরে থাকতে হবে।রাতের অন্ধকারে হাতি দেখা গেলে বেশি আলো না জ্বালানোই ভাল।

বন আধিকারিক আরওজানালেন, বীরভূমের মত জেলায় হাতির আগমন সচরাচর দেখা যায় না। যে কারণে হাতি সম্পর্কে ওখানকার বাসিন্দারা অবগত নয়। এই হাতিগুলি বাঁকুড়া থেকে বর্ধমান হয়ে বীরভূমে প্রবেশ করে। হাতি যাতে জেলায় প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় হাতিগুলো এখানে এসে দলছুট হয়ে পড়ে।

তবে বন দফতরের কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে হাতিগুলিকে পুনরায় অনুকূল পরিবেশে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া হাতি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে আসার পরেই বন দফতরের কর্মীদের তরফ থেকে তার উপর নজর রাখা হয়। পাশাপাশি মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে আগে থেকেই সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং হাতি প্রবেশ করার পরও মাইকিং করে সতর্ক করা হয়।

বন দফতরের এই সকল সর্তকতা অবলম্বনের পাশাপাশি হাতি থেকে সুরক্ষিত এবং হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সাধারণ মানুষেরও কিছু কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মানুষকে মনে রাখতে হবে হাতি বন্যপ্রাণী, কিন্তু মানুষ বুদ্ধিমান। তাই মানুষকেই সচেতন থাকতে হবে।