মুর্শিদাবাদ জেলায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুইজনের

মুর্শিদাবাদ জেলায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুইজনের

অসচেতনতা ও বেপরোয়া গতির শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হল দুই নাবালক কে। মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে আরও একজন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘি থানার হড়হড়ি বাস স্ট্যান্ড এলাকায়। আহত বালক বর্তমানে সাগরদীঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিত্‍ সাধীন । সাগরদীঘি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত দুই নাবালকের নাম আনসারুল হক মল্লিক (১৩) , বাড়ি সাগরদীঘির হলদি গ্রামে ।

ইসমাইল সেখ (১৪), বাড়ি বয়ার গ্রামে। আহত নাবালকের নাম নাজমুল হক মল্লিক (১২) বাড়ি হলদি গ্রামে। এই তিন বালক সম্পর্কে জেঠতুতো এবং খুড়তুতো ভাই। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার রাতে ওই তিন বালক বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য স্থানীয় গ্রামগুলোতে ঘুরতে বের হয়।

শুক্রবার রাতে তারা মনিগ্রামের দিক থেকে সাগরদীঘির দিকে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় হড়হড়ি বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ডাম্পারকে ওভারটেক করতে যায়। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হঠাত্‍ই বাইকটি সজোরে ডাম্পারটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আনসারুল এবং ইসমাইলের। গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুলকে স্থানীয় লোকজন সাগরদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাগরদীঘি থানার পুলিশ প্রশাসন। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় মৃত বা আহত কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। শুধু তাই নয় প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ার জন্য তাদের কাছে মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্সও ছিল না। ঘটনার পরই ওই ডাম্পার এবং তার চালককে আটক করা হয়েছে। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার জুড়ে। যদিও আঠারো বছর না হতেই মটর বাইক চালানোর প্রশিক্ষণ কেন দিল পরিবারের সদস্যরা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনের জন্য সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে জনসচেতনা প্রচার ও পদযাত্রা করা হচ্ছে গোটা জেলা জুড়ে।কিন্তু তাতেও মানুষ সচেতন হচ্ছেন না।

এরই মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই নাবালকের। পর পর দুইদিন মুর্শিদাবাদ জেলার পৃথক দুটি জায়গায় পথ দুর্ঘটনায় একসাথে মৃত্যু হল দুইজনের। বৃহস্পতিবার সালারে পথ দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সাগরদীঘিতে পথ দুর্ঘটনায় দুজনার মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে আর কবে সচেতন হবেন নাগরিকরা?