সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ফের মৃত্যু মুর্শিদাবাদে

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ফের মৃত্যু মুর্শিদাবাদে

সীমান্তে বিএসএফের (BSF) গুলিতে ফের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদে। রবিবার সাগরপাড়ার চক মথুরায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পাচারকারী সন্দেহেই বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালিয়েছে। ঘটনার পর বিএসএফের মুখে কুলুপ। এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

 প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এদিন সকালে সীমান্তের পাটের (Jute) জমির আড়ালে ফেনসিডিল পাচার করছিল ওই রুহুল মণ্ডল নামে ওই যুবক। সেসময় সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা তাঁকে আটকাতে গেলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে থামাতে বিএসএফ গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ওই যুবক।

তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সরাসরি যুবকের বুকে গুলি (Shot Dead) লেগেছে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, রুহুলের মৃত্যু হলেও প্রথমে পুলিশ বা বিএসএফের তরফে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। নালার ধারে পাটের জমিতে তাঁর মৃতদেহ পড়েছিল। তা দেখতে পেয়ে মাঠের অন্য কৃষকরা বাড়ি ফিরে বলেন। তাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।  

মৃতের দাদা ময়জুদ্দিন মণ্ডল অভিযোগের সুরে জানান, “বিএসএফ পাচারকারী ভেবে আমার ভাইকে মেরেছে, কিন্তু ও পাচারকারী নয়। পাটের জমিতে পাট বাছাই করতে গিয়েছিল। সেখানেই বিএসএফ গুলি করে মেরে দিয়েছে।” জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) চরমথুরায় বিএসএফের ১৪১ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা এই ঘটনায় অভিযুক্ত।

পুলিশ জানিয়েছে, “নিহত যুবকের নাম রুহুল মণ্ডল, বয়স ২৬ বছর। সাগরপাড়ার রামনারায়ণ পাড়ায় তার বাড়ি।” মৃতের বউদি মুরসিলা বিবির কথায়, “প্রতিদিনের মতো এদিনও রুহুল মণ্ডল চাষ আবাদের জন্য সীমান্তের পাটের জমিতে গিয়েছিল। আমার দেওর পাচারের সঙ্গে জড়িত নয়। তবুও বিএসএফ গুলি করে মেরেছে। আর তাদের ভুল ঢাকতে এখন রুহুলকে পাচারকারী বলে দাবি করছে।” বিএসএফ ওই ঘটনায় কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।