মুর্শিদাবাদে ভরসন্ধ্যায় পথদুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল দুই যুবকের

মুর্শিদাবাদে ভরসন্ধ্যায় পথদুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল দুই যুবকের

ভরসন্ধ্যায় পথদুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল দুই যুবকের। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও একজন। রবিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ঘটনাটি ঘটে। পরিবারের দাবি, তিনজন একটি বাইকে যাওয়ার সময় উল্টো দিক থেকে লরি এসে ধাক্কা মারে। তাতেই ঘটনাস্থলে দু’জনের মৃত্যু হয়। একজনকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনা ঘিরে মুর্শিদাবাদের মানকরা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, মানুষ যাতে সুরক্ষিতভাবে যাতায়াত করতে পারেন, সে কারণেই সিভিক ভলান্টিয়ার্স নিয়োগ করা হয়। অথচ দেখা যাচ্ছে, সিভিকরা নিজেদের দায়িত্ব ফেলে আড্ডা দিচ্ছে, চায়ের দোকানে হইহই করছে।

বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতরা হলেন, সুরজ মণ্ডল (১৯), পিন্টু মণ্ডল (২২)। অন্যদিকে জখম নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি সুরজিৎ মণ্ডল। রবিবার সন্ধ্যায় তিন যুবক একটি বাইকে চেপে বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। রাস্তার বাঁক থেকে জাতীয় সড়কের উপর উঠতেই কলকাতা থেকে বেলডাঙাগামী একটি পণ্যবাহী লরি সজোরে ধাক্কা মারে।

ঘটনাস্থলেই সুরজ ও পিন্টুর মৃত্যু হয় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। জখম সুরজিৎকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বহরমপুর থানার পুলিশ গিয়ে দেহ দু’টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিকে এই ঘটনার পর লরি ফেলে চালক ও খালাসি পালিয়ে যান। ঘাতক লরিটিকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। সুরজিতের বাবা জানান, “আমি রাজমিস্ত্রির কাজ করি।

বাড়ি ফিরে দেখছি গাড়িটা নেই। বুঝলাম ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছে। কিন্তু কোথায় গিয়েছে, কী বৃত্তান্ত কিছুই জানতাম না। পরে খবর আসে এই ঘটনা। শুনেই হাসপাতালে ছুটে যাই।” অন্যদিকে সুরজদের প্রতিবেশী বিট্টু মণ্ডল বলেন, “ওরা বাইক নিয়ে যাচ্ছিল, লরি মেরে দিয়েছে। ওরা বোরগাছি থেকে আসছিল। তিনজন একই বাইকে ছিল এটুকুই শুনেছি।

তবে কারও মাথায় হেলমেট ছিল কি না তা জানি না।” আরেক পরিচিত বিশ্বরূপ বিশ্বাস বলেন, “বাইকে ধাক্কা লাগতেই ছিটকে পড়ে তিনজন। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। একজনকে মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, সিভিক পুলিশ এখানে কাজ করে না। চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়। সিগনালে ওদের দেখাই মেলে না। এভাবে চললে তো বারবারই এমন ঘটনা ঘটবে।”