বিছানায় বীর্যের দাগ, মেঝেতে রক্ত! বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার হল মোবাইল

বিছানায় বীর্যের দাগ, মেঝেতে রক্ত! বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার হল মোবাইল

হাঁসখালি ‘গণধর্ষণ’কাণ্ডে অভিযুক্তের বাড়িতে মেঝেতে মিলল রক্তের দাগ, আর বিছানার চাদরে বীর্যের দাগ। শুক্রবার সকালে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার রাতেও অভিযুক্তের বাড়িতে যান ডিআইজি সিবিআই অখিলেশ সিং। সঙ্গে ছিলেন যুগ্ন অধিকর্তা ঘনশ্যাম উপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিবার বিকালে সেন্ট্রাল ফরেনসিক টিম নিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

সেসময় অভিযুক্তের বাড়িতে কেউ ছিলেন না। মূলত গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত হিসাবে ছেলের গ্রেফতারির পরই সপরিবারে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা। তাই তালা ভেঙেই ঘরে ঢোকেন তদন্তকারীরা। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ফোন।

অভিযুক্তের বাড়ির বিছানা থেকে রক্তের দাগ মিলেছে। আগেই নির্যাতিতার বাড়ি থেকে তার পরিহিত জামার কিছু টুকরো তদন্তের স্বার্থে নিয়েছিল সিবিআই। এদিন নেওয়া হয় অভিযুক্তের জামার টুকরোও। তা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে মিলিয়ে দেখা হবে। আগেই পুলিশ ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ অর্থাত্‍ ঘটনাস্থল থেকে বীর্যের নমুনা সংগ্রহ করেছিল।

নির্যাতিতার পরিবারের থেকে রক্তমাখা চাদরের টুকরোও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারী পুলিশকর্তারা। সেগুলি অবশ্য তাঁরা ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাতে পারেননি। সিবিআই তদন্তের শুরুতেই ফরেনসিক টিম নিয়ে ‘প্লেস অফ অকারেন্সে’ পৌঁছয়। গত ৪ তারিখ তৃণমূল নেতার বাড়িতেই তাঁর ছেলের বার্থ ডে পার্টি ছিল। সেখানে এসেছিল নির্যাতিতা। সেখানেই তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

তারপর ওই রাতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় নাবালিকার। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পর দরজা সিল করে দিয়ে যান তদন্তকারীরা। আজ সিল ভেঙে তাঁরা ফের ঘরে ঢোকেন। জেরায় জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ও তার বন্ধুরা মাদকাসক্ত ছিল। তারা নিয়মিতই মাদক সেবন করত। ঘটনার রাতেও বাড়িতে বসে মদ্যপান করেছিল ওরা।

বাড়ির পিছন থেকে একটা কি প্যাড মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। কার মোবাইল, সেটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। সবথেকে উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে যখন ডিআইজি সিআইডি অখিলেশ সিং অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর মুখোমুখি হন অভিযুক্তের এক প্রতিবেশী ও আত্মীয়। তাঁরা অভিযুক্ত ও তার বাবার বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।

প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তারা এই পরিবারের হাতে বারবার আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে রিভলবারের বাঁট দিয়েও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। উল্লেখ্য, প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছেও একাধিক অভিযোগ ছিল। সব কটি বিষয় খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।