পশ্চিম মেদিনীপুরে নিখোঁজের ২ দিন পর উদ্ধার মৃতদেহ

পশ্চিম মেদিনীপুরে নিখোঁজের ২ দিন পর উদ্ধার মৃতদেহ

চন্দ্রকোনা   টানা একদিন নিখোঁজ ছিল বাড়ির ছেলে। চিন্তায় দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি পরিবার সদস্যরা। ঘরের ছেলে কোথায় গেল বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। এদিকে মোবাইলও বন্ধ। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর কাজ না হওয়ায় পুলিশকে জানায় তারা। পরে উদ্ধার হয় ছেলে। তবে মৃত অবস্থায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বওড়া গ্রামের ঘটনা।

যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এলাকাবাসী ও পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে তাদের ছেলেকে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে পুলিশ এলে পুলিশকে ঘিরেও শুরু হয় বিক্ষোভ। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করতে থাকেন সঠিক তদন্তের জন্য। ইতিমধ্যে ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল বওড়া গ্রামের বাসিন্দা শান্ত রায় (৩৪)। তাঁর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধান কাটা হারভেস্টার মেশিনে কর্মরত ছিল শান্ত। শুক্রবার ধান কাটা মেশিনের সঙ্গে নিয়েই কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। এরপর শনিবার গ্রামের একটি ফাঁকা জায়গাতে শান্তের ব্যাগ জুতো দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

কিন্তু তখনও খোঁজ মেলেনি যুবকের। এদিকে মোবাইলে ফোন করেও পাওয়া যায়নি তাকে। দীর্ঘক্ষণ তা বেজে শেষমেশ কেটেও যায়।পুরো বিষয়টি ক্ষীরপাই পুলিশ ফাঁড়িতে জানায় পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে রবিবার গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের মৃতদেহ। মৃতদেহটি উদ্ধারের পর থেকেই ঘিরে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।

পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ শান্তকে খুন করা হয়েছে, ঘটনায় গ্রামের কয়েজ জন যুক্ত। মৃতদেহ উদ্ধার করতে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী, ইতিমধ্যে পুলিশ বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এই ঘটনায় ওই যুবকের ভাই বলেছেন, “আমি দোষীদের ফাঁসি হোক চাই। যারা এইভাবে আমার দাদাকে খুন করে ফেলল তারা যেন কোনও ভাবেই ছাড়া না পায় আমি সেইটাই চাই।”