পশ্চিম মেদিনীপুরে মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় প্রেমিক ! ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল ছেলে

পশ্চিম মেদিনীপুরে মায়ের সঙ্গে  ঘনিষ্ঠ অবস্থায় প্রেমিক ! ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল ছেলে

ঘটনার শুরুটা হয়েছিল রবিবার। পুকুর পাড় থেকে এক ব্যক্তিকে গুরুতর জখম অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী। সঙ্গে-সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়ে কলকাতার আর এক হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ব্যক্তির। তদন্তে আসে পুলিশ। ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় তাদের।

আর তল্লাশি চালাতে গিয়েই উঠে আসে আসল কারণে। তা দেখে কপালে হাত খোদ পুলিশের। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ঘটনা। পাড়ার এক ব্যক্তির সঙ্গে মায়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেলায় মেনে নিতে পারেনি যুবক। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে পুকুর পাড়ে মায়ের প্রেমিককে পিটিয়ে মারল ছেলে। ঘটনায় চাঞ্চল্য দাসপুর থানার কিসমত নাড়াজোলে।

ঘটনার পর পলাতক থাকলেও পরে পিংলা থানার মালিগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে দাসপুর পুলিশ। ধৃতকে আজ তোলা হবে আদালতে। ঠিক কী ঘটেছে? দাসপুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে দাসপুর থানার কিসমত নাড়াজোলে পুকুর পাড় থেকে বছর ৬২ অসিত মাইতিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কলকাতায় চিকিত্‍সারত অবস্থায় রবিবার বিকেল নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।

তদন্ত শুরু করে ঘাটাল থানার পুলিশ। ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নীশ্বর চৌধুরী বলেন, ‘অসিত মাইতির মাথায় ও মুখে গুরুতর চোট ছিল। আঘাতের চিহ্ন দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল তাকে শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।’ তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। রবিবারের সকাল থেকেই পুলিশ ওই গ্রামে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

এমনকী অসিত মাইতিকে মারার পিছনে পাড়ারই তুফান গিরি নামে এক যুবকের নাম উঠে এলে পুলিশের সন্দেহ হয়। তুফানের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে পুলিশ তুফানের খোঁজ না পেলে তুফানের মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিংলা থানার মালিগ্রাম থেকে পুলিশ তুফানকে গ্রেফতার করে। শুধু পুলিশের কাছে নয়, সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তুফান স্পষ্ট জানায়, মায়ের সঙ্গে অসিত মাইতির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সহ্য করতে না পেরেই তাঁকে রাতের অন্ধকারে মেরেছে।

বস্তুত, অসিত মাইতি বিবাহিত হলেও দীর্ঘদিন স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের থেকে তিনি আলাদাই থাকতেন। অন্যদিকে, তুফান গিরির বাবা প্রেম গিরি বেশ কয়েকবছর আগেই মারা গিয়েছেন। বছর উনিশের তুফান ভিন রাজ্যে সোনার কাজ করত। করোনার জেরে লকডাউনে বাড়ি আসে তুফান। নাড়াজোলেই তামার কাজের সঙ্গে যুক্ত হয় সে। তুফান জানায়, মূলত মায়ের সঙ্গে অসিত মাইতির অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখেই সে আর নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে শনিবার গভীর রাতেই পুকুর পাড়ে তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছিল।