উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরে
উচ্চ-মাধ্যমিক চলছে। এর মধ্যেই মর্মান্তিক ঘটনা। পরীক্ষা দিতে যায়নি এক উচ্চ- মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরে ভিলেজ পুলিশ এসে খবর নিয়ে জানতে পারে ঘটনার কথা। পরীক্ষার দিনই নিজের বাড়িতে উদ্ধার হল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারে শোকের ছায়া। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা মজলিশপুর এলাকার ঘটনা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বর্ষা দোলই।
বর্ষা এই বছর উচ্চ-মাধ্যমিক দিচ্ছিলেন। সাগরপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ পরীক্ষা দিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাননি বর্ষা। তাই স্কুলের তরফ থেকে গ্রামের ভিলেজ পুলিশের মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়া জন্য পাঠানো হয় বর্ষার বাড়িতে। তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পরই যখন খোঁজখবর শুরু হয় তখন দেখা যায় বর্ষার ঝুলন্ত দেহ পরে রয়েছে পড়ার ঘরে।
তবে কী কারণে তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিন উচ্চ-মাধ্যমিকের ফিলজফি পরীক্ষা ছিল। ইতিমধ্যে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। তবে, স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে বর্ষাকে ফোন নিয়ে তাঁর পরিবারের লোক বকাবকি করেছিল। তাই হয়তো তিনি এমন কাজ করেছে। প্রসঙ্গত, আজ নদিয়া থেকেও আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে আসে।
নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার সত্যপুর এলাকার ঘটনা। প্রতিদিনের মতই পড়তে বেরিয়েছিল সোনাতলা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী পায়েল ঘোষ ও অয়ন ঘোষ। দু'জনই নবম শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু অনেকক্ষণ হওয়ার পরও তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এরপর সত্যপুর এলাকার নতুন বাড়ির একটি ঘরের ভেতরে দুজনকে একসঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় এলাকার মানুষ।