পূর্ব মেদিনীপুরে পুকুরে মাছ ধরতে নেমে গলায় আটকে জ্যান্ত কইমাছ

পূর্ব মেদিনীপুরে পুকুরে মাছ ধরতে নেমে গলায় আটকে জ্যান্ত কইমাছ

পুকুরে মাছ ধরতে নেমেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapore) জেলার ভগবানপুরের বাসিন্দা এক যুবক। একটা কই মাছ ধরে সেটাকে দাঁতে চেপে রেখে অন্য একটা কই মাছ ধরতে যান। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। দাঁতে চেপে রাখা জ্যান্ত কই মাছটি চলে গেল গলার মধ্যে। মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ যায় যায় অবস্থা যুবকের। অবশেষে দু ঘণ্টার সফল অস্ত্রপচারে গলা থেকে বেরলো কই মাছ। আর প্রাণে বাঁচলেন ওই যুবক।

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনিপুর জেলার ভগবানপুর থানার নথিপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনিপুর জেলার ভগবানপুর থানার নথিপুর গ্রামের ওই যুবকের নাম তপন মাইতি। বছর চল্লিশের ওই যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে, এদিন পুকুরে মাছ ধরতে নেমে একটি কই মাছ ধরে সেটিকে দাঁতে চেপে ধরে অন্য একটি কই মাছ ধরতে যান তিনি।

দাঁতে চেপে ধরে রাখা কই মাছটি আচমকা গলায় চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা তাঁকে চণ্ডীপুর মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। আর এমন গুরুতর অবস্থা দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে অপারেশনের ব্যবস্থা নেয়। যুবকের এক প্রতিবেশী শুভদীপ দাস জানিয়েছেন যে, প্রায় দু ঘণ্টা ধরে চারজন চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেন।

চারজন চিকিৎসকের সাহসী প্রচেষ্টায় প্রায় দু ঘণ্টা পর ৫ সেমির কই মাছটি মুখ থেকে তাঁরা বের করতে সক্ষণ হন।  চিকিৎসক পার্থপ্রতিম দাস জানান, মুহূর্তের মধ্যে অপারেশনের সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নাহলে এমন অবস্থায় রোগীর প্রাণ সংশয় থেকে যায়। রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে যেতে পারত। ইএনটি সার্জেন ডাক্তার রত্নদীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, সহযোগী ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার ফলে তাঁরাও গর্বিত।

কারণ, এমন অবস্থায় রোগীর গলা থেকে কই মাছ বের করা বেশ কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ছিল। মফস্বল এলাকাতে এই হাসপাতালে এমন সফল অস্ত্রোপচার হওয়ার ফলে এলাকার মানুষও খুশি। জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর চণ্ডীপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই যুবক।