সৈকত নগরী দিঘায় আরও একবার মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ

সৈকত নগরী দিঘায় আরও একবার মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ

 সৈকত নগরী দিঘায় আরও একবার মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল। কয়েকদিন আগে এই দিঘাতেই এক কিশোরীকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। আর এবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্নানের আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে রেখেছিলেন ওই প্রতিবেশী যুবক। আর সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেল করা হয় তাঁকে।

ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন মহিলা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘায়। রবিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁর জামিন নাকচ করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্যাতিতা প্রতিবেশী মহিলার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন কাঁথি আদালতের বিচারক।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দিঘায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ধৃত যুবক বিশ্বজিত্‍ মণ্ডল রেল দফতরের ঠিকাদারের অধীনে কর্মরত বলেই জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দিঘার বাসিন্দা ওই যুবক বিশ্বজিত্‍ মণ্ডল প্রতিনিয়ত প্রতিবেশী ওই গৃহবধূর বাড়িতে যাতাযাত করতেন। ঘটনার সূত্রপাত গত আড়াই বছর আগে। প্রতিবেশী মহিলা যখন বাড়ির বাথরুমে স্নান করছিলেন তখনই বাড়িতে হাজির হন বিশ্বজিত্‍।

মহিলার অলক্ষ্যে স্নানে আপত্তিকর ভিডিয়ো মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন তিনি। এরপর ওই আপত্তিকর ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া তথা ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন যুবক। দিনের পর দিন এই বলে মহিলাকে ব্ল্যাকমেল করা হয় বলে অভিযোগ। ওই মহিলা জানিয়েছেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন বিশ্বজিত্‍।

শুধু তাই নয় ওই মহিলার কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না হাতিয়ে নেন ওই যুবক। লোকলজ্জার ভয়ে ওই মহিলা কাউকে জানাতে সাহস পাননি। নিজের স্বামীকেও সে কথা জানাননি তিনি। গত ২৮ মার্চ ওই মহিলার বাড়িতে হাজির হন বিশ্বজিত্‍ মণ্ডল। মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে ও গয়না হাতে নিয়ে চম্পট দেযন অভিযুক্ত বিশ্বজিত্‍।

ওই যুবক মহিলার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের বাসিন্দারা দেখতে পান। স্বামী বাড়ি ফিরলে এসব কথা জানিয়ে দেন মহিলা। শনিবার রাতে সুবিচারের আশায় দিঘা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন মহিলা। অভিযুক্ত বিশ্বজিত্‍ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দিঘা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে রাতেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।