Panskurar News| স্কুলের প্রিয় প্রধান শিক্ষক এর বদলি মানতে নারাজ ছাত্র-ছাত্রীরা

Panskurar News|  স্কুলের প্রিয় প্রধান শিক্ষক এর বদলি মানতে নারাজ ছাত্র-ছাত্রীরা

স্কুলের প্রিয় প্রধান শিক্ষক এর বদলি মানতে নারাজ ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রধান শিক্ষকের দরজার বাইরে পথ আটকে ধর্নায় বসল ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনা উঠে আসে। এমনকি শিক্ষক বা অধ্যক্ষদের আটকে রাখার ঘটনা ঘটে। Purba Medinipur পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় Panskura পাঁশকুড়া তে প্রধান শিক্ষককে আটকে রাখার ঘটনা ঘটল।

কিন্তু তা সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণেই। Panskura পাঁশকুড়ার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বদলি মেনে নিতে পারছে না ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। তাই তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দরজার বাইরে ধর্নায় বসল। Panskura পাঁশকুড়া পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চাপাডালি হাইস্কুলের ২০১০ সাল থেকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন নরেশ রানা। নরেশ বাবুর বাড়ি  Paschim Medinipur পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং এর দশক গ্রাম এলাকায়।

কর্মজীবনের শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছেন নরেশ বাবু। মাত্র তিন বছর বাকি রয়েছে অবসর নিতে। তাই তিনি চেয়েছিলেন বাড়ির কোন কাছাকাছি স্কুলে শষ তিন বছর শিক্ষকতা করার।উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে Panskura পাঁশকুড়ার চাঁপাডালির হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নরেশ রানা নিজের বাড়ির কাছের স্কুলে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন আর সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে।

কিন্তু চাঁপাডালি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের ভালোবাসা স্নেহ থেকে দূরে সরে থাকতে চাইছে না। আর সে কারণেই ছাত্র-ছাত্রী দরদী প্রধান শিক্ষকের অন্যত্র বদলি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না স্কুলের ছাত্র ছাত্রী থেকে অভিভাবকেরা। ৯ এপ্রিল শনিবার স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা এই স্কুলের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, তাদের দাবি তাদের প্রিয় প্রধান শিক্ষককে স্কুলেই থাকতে হবে, স্কুল ছেড়ে যেতে দেবে না তারা।

দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের সঙ্গেই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন নরেশ বাবু। স্কুলের শিক্ষা থেকে শুরু করে শিক্ষা কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যকলাপ মন কেড়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের। কিন্তু উৎস শ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ বদলির আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়। সেই মোতাবেক তিনি পাঁশকুড়ার চাঁপাডালি স্কুল ছেড়ে চলে যাবার প্রস্তুতি নেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা তাঁর চলে যাওয়া আটকাতে ধর্নায় বসল।

কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ওই প্রধান শিক্ষককে চলে যেতেই হবে। নরেশ বাবুর কথায়, \"স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনায় যে মানের ই হোক না কেন কিন্তু আচার-ব্যবহার ও মানসিকতার দিক থেকে বহু যোজন এগিয়ে। নিয়ম মেনে অন্য স্কুলে বদলি হয়েছে তাঁর। কিন্তু ছাত্র ছাত্রীরা মেনে নিতে পারছে না তা। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের সার্কেল ইন্সপেক্টর এর সঙ্গে কথা বলে দেখব।\" প্রধান শিক্ষককে স্কুলে রাখতে চেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা এমনকি প্রধান শিক্ষকের যার সামনে ধর্নায় দেয় তারা। ছাত্র-ছাত্রীদের এমন আচরনে আপ্লুত হন নরেশ বাবু। তিনিও ভেঙে পড়েন।