মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠালেন জগদীপ ধনখড়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠালেন জগদীপ ধনখড়

 বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের সংঘাত লেগেই রয়েছে। এমনকী সেই সংঘাত এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে, রাজ্যপালের অপসারণের দাবিতে সংসদেও সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ-বিজেপিশাসিত রাজ্যের রাজ্যপালদের অতিসক্রিয়তা নিয়েও সরব হয়েছেন। সেই মর্মে তিনি কথা বলেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যলিনের সঙ্গেও।

এই পরিস্থিতিতে এবার ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ডেকে পাঠালেন জগদীপ ধনখড়।  চলতি সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আসতে বলেছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে রাজভবনে আসার অনুরোধ করেছেন তিনি। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হয়। তাই আলোচনা প্রয়োজন দুজনের। এমনই বয়ানে রাজ্যপাল চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ বিষয়ে তিনি একটি ট্যুইটও করেছেন।

চিঠির বয়ান দেখে অনেকেই বলছেন, সংঘাত মেটাতে তৎপরতা দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর সুবিধা মতো সময় দেখা করতে বলেছেন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ফোন করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনকে। তিনি রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তা নিয়ে কথা বলেছেন। স্ট্যালিনকে অবিজেপি জোট আরও পোক্ত করার কথা বলেছেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা মনে করানোর পর তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন টুইট করে সেই কথা সমর্থনও করেছেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ট্যুইটে লিখেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন সমাপ্তির কথা যেভাবে ঘোষণা করেছেন রাজ্যপাল, তা তাঁর মতো সাংবিধানিক প্রধানের কাছে অনাকাঙ্খিত। এবং তাঁর কাছ থেকে এমন নীতিবিরুদ্ধ আচরণ আশা করা যায় না।

এর পাল্টা ট্যুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লেখেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর এই কঠোর পর্যবেক্ষণ সত্য-সংযুক্ত আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অধিবেশন সমাপ্ত করা হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনা করার পরই।  উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় একটি টুইট করে জানিয়েছেন, রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হল।

১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও তিনি ট্যুইটে উল্লেখ করেছিলেন। এমনকী ১৭৪-এর ২ ধারার কথাও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। এরপর থেকেই রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। ভিনরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও সমালোচনা করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের। মূলত অ-বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই বিশেষ করে সরব হন। এই পরিস্থিতিতে ফের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসে সংঘাত মেটানোর বার্তা দিলেন রাজ্যপাল।