পূর্ব বর্ধমানে মন্ত্রীর নাম করে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা

পূর্ব বর্ধমানে মন্ত্রীর নাম করে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা

কালনা: এক সময় চা দোকানে বসত। তারপর ধীরে-ধীরে চার চাকার গাড়ি। বিষয়টি নজর কেড়েছিল স্থানীয়দের। পরে যখন কোমরে দড়ি পরল তখনই জানা গেল আসল রহস্য। তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা তোলার অভিযোগ।

গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। পূর্ব বর্ধমানের কালনার ঘটনা। সেখানে বিনয় মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি নিজেকে বিধায়ক ও মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে প্রায় চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে খবর। শুধু তাই নয়, ভুয়ো অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দিয়েছে। এরপর কালনা পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। সূত্রের খবর, কালনা শহরের লাল বাগান এলাকার বাসিন্দা বিনয়।

তার প্রথমে একটি চায়ের দোকান ছিল। পরে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি দেওয়ার নামে অফিস খোলে। এরপরই প্রাইমারি ও জল সম্পদ দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকেই টাকা হাতিয়ে নেয় বিনয়। এমনটাই অভিযোগ। এ দিকে, প্রচুর মানুষের কাছ থেকে টাকা ‘হাতানোর’ জন্য আস্তে-আস্তে বিনয়ের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হতে শুরু করে।

এলাকাবাসীর দাবি মাঝে মধ্যেই গাড়িতে চেপে কলকাতায় যাতায়াত করতেন বিনয়। কয়েকদিন আগে মেমারির জামালপুরের যুবক শেখ আহমেদ আলি তার এক পরিচিতর কাছ থেকে জানতে পারেন বিনয় মুখোপাধ্যায় অনেককেই চাকরি করে দিয়েছেন। এরপরে ওই যুবক তাঁর জামাইবাবুর চাকরির জন্য বিনয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখনই তিনি জানায় যে জলসম্পদ দফতরে একটি চাকরি ফাঁকা রয়েছে।

তার জন্য আহমেদকে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা দিতে হবে। সাড়ে চার লক্ষ টাকা নিয়ে তাঁদের জয়েনিং লেটারও দেওয়া হয়। কিন্তু কাজে যোগ দিতে গিয়েই তাঁরা বুঝতে পারে যে একটি ফেক জয়েনিং লেটার। এর পরেই প্রতারিত যুবকরা কালনার বিধায়কের কাছে প্রতারণার পুরো বিষয়টি জানান পাশাপাশি কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ করে।

পুলিশ জানিয়েছে যে প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে বিনয় মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বিধায়ক দেব প্রসাদ বাগ এই ঘটনার সঙ্গে মন্ত্রী বা আমলা যুক্ত নয়। ছেলেটি লক্ষ্মণ পাড়ার কাছে অফিস খুলে বসেছিল। সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা পয়সা তিনি নিতেন।