আন্ডারপাস ও সার্ভিস রোডের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ

আন্ডারপাস ও সার্ভিস রোডের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ

তনুজ জৈন  হরিশ্চন্দ্রপুর  : সার্ভিস রোড এবং আন্ডারপাসের দাবিতে সোমবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর তুলসিহাটা ভবানীপুর চৌরাস্তা মোড়ে জীবন ও জমি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে পথ অবরোধ ও অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ সভার ডাক দিল এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর ভবানীপুর চৌরাস্তার মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা।

চৌরাস্তার মোড় অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় চাঁচল - ভালুকা - হরিশ্চন্দ্রপুর-সামসি যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা। চরম সমস্যার মুখে পরে এলাকার বাসিন্দা এবং নিত্যযাত্রীরা। প্রসঙ্গত হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে চাঁচল হয়ে গাজোল কদুবাড়ি পর্যন্ত ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। তুলসিহাটা ভবানীপুর চৌরাস্তা এলাকায় একটি ফ্লাইওভারসহ বাইপাস রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

এই ফ্লাইওভার নির্মাণ করার কাজে এখনো পর্যন্ত কোন সার্ভিস রোড তৈরি করার উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। জীবন ও জমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা জানান ভবানীপুর এই ফ্লাইওভার নির্মাণ হলে রাস্তার এক দিকের ব্যবসায়ীরা ভীষণ ভাবে ক্ষতি-গ্রস্ত হবে। সেই জন্য অবিলম্বে এলাকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে তুলসিহাটা হাটের ব্যবসায়ীদের জন্য অবিলম্বে ফ্লাইওভারের দুই পাশে সার্ভিস নির্মাণ করা প্রয়োজন।

তার সঙ্গে সঙ্গে ফাইওভারের নিচে একটি আন্ডারপাস দ্রুত নির্মাণ করতে হবে যাতে ফ্লাইওভারের পশ্চিম প্রান্তে থাকা ব্যবসায়ীদের এবং হাটের ব্যবসায়ীদের সুবিধা হয়। এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা মহকুমা এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। মিলেছে শুধুই মৌখিক আশ্বাসও।

এর আগেও একবার অবস্থান-বিক্ষোভ করা হয়েছিল। সে সময় প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেল তা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়নি। তাই সোমবার এলাকার ব্যবসায়ীরা সার্ভিস রোড এবং আন্ডারপাসে দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন চলবে।

এদিন অবস্থান-বিক্ষোভ আন্দোলনের পাশাপাশি জীবন ও জমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা হরিশ্চন্দ্রপুর চাঁচল জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দেয়। সকাল থেকে ৬ ঘন্টা ধরে এখনো পথ অবরোধ চলছে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। যদিও এ প্রসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা কিংবা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে চাননি।