কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের পদ খারিজের মামলায় নয়া মোড়

কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের পদ খারিজের মামলায় নয়া মোড়

দলত্যাগ বিরোধী আইনের Mukul Roy মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে মামলায় বিধানসভার স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা কথা বলল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই রায় দিয়েছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-র টিকিটে নির্বাচিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুলের বিধায়ক পদ বহাল রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, হাই কোর্টের সোমবারের রায়ে তা কার্যত খারিজ হয়ে গেল বলে আবেদনকারী পক্ষের দাবি।

আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, গত বছরের ১১ জুন যে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি বিধায়ক মুকুল তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, সেই সাংবাদিক বৈঠককে ‘প্রমাণ’ হিসেবে ধরে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে।  

মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্য দিকে, বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় পিএসি চেয়ারম্যান পদ খারিজের দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন। গত মাসে বিচারপতি নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গভাইয়ের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, এক মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে কলকাতা হাই কোর্টকে। 

মুকুলের এই ঘর ওয়াপসির পরই তাঁর বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে স্পিকারের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। যদিও বিধানসভায় মুকুলের আইনজীবীরা বরাবরই দাবি করে এসেছেন, তিনি বিজেপির বিধায়ক। কখনও দলবদল করেননি। এর মধ্যে আবার শাসকদলে বদান্যতায় PAC’র চেয়ারম্যান পদও যায় মুকুলের হাতেই। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও আবেদন করে বিজেপি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বিজেপির সব অভিযোগ খারিজ করে মুকুলের বিধায়ক পদ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্পিকার। এবার সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ এল হাই কোর্ট।