দিল্লি মামলায় মাষ্টারমাইন্ড বাংলার আনসার, পূর্ব মেদিনীপুরে দিল্লি পুলিসের দল

দিল্লি মামলায় মাষ্টারমাইন্ড  বাংলার আনসার, পূর্ব মেদিনীপুরে দিল্লি পুলিসের দল

দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় 'অশান্তি'র ঘটনায় নাম জড়িয়েছে হলদিয়ার আনসার এবং মহিষাদলের আসলামের। জাহাঙ্গীরপুরী হনুমান জয়ন্তী অশান্তি মামলায় বাংলা যোগ।‌ পুলিশ সূত্রে খবর, মাষ্টারমাইন্ড আনসার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার কুমারপুর এলাকার বাসিন্দা। শুধু তাই নয়, অন্য অভিযুক্ত শেখ আসলামের শ্বশুর বাড়ি মহিষাদলের কাঞ্চনপুরে।

তাঁদের লোকেশন ভেরিফিকেশন করতে এবার পূর্ব মেদিনীপুরে যায় দিল্লি পুলিসের ৩ সদস্যের একটা দল। দিল্লি পুলিসের ওই দলে রয়েছেন ক্রাইম ব্রাঞ্চের এএসআই সুরেশ কুমার, এছাড়া কৃষ্ণা পাল এবং সুমিত লামা। মঙ্গলবার সন্ধেতে প্রথমে মহিষাদল থানায় যান তাঁরা। মহিষাদলের কাঞ্চনপুরের আসলামের বাড়ি। তার বাড়ির লোকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিস আধিকারিকরা।

এরপর হলদিয়ার শেখ আনসারের শ্বশুর বাড়িতেও যেতে পারেন তদন্তকারীরা। পুলিস সূত্রে খবর, দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় 'অশান্তি'র ঘটনায় অভিযুক্তদের লোকেশন ভেরিফিকেশন করতে এসেছে দিল্লি পুলিসের ওই দলটি। জানা গিয়েছে, দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় 'অশান্তি'র ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনসার। দিল্লিতে তার মোবাইলের দোকান রয়েছে। পাশাপাশি সে স্ক্র্যাপ মালের ব্যবসাও করে।

হলদিয়ায় শ্বশুর বাড়িতে মাঝে মধ্য়ে যেত আনসার। তবে তার আসল বাড়ি কোথায়, তা কেউ জানে না। এলাকাবাসী মনে তার সম্পর্কে একটা ভাল ছবি রয়েছে।  আনসারের জীবনযাত্রা দেখে সকলেই হতভম্ব। গায়ে সোনার গয়না, হাতে গোছা গোছা টাকা, দামি দামি গাড়ি, বিলাসবহুল জীবন যাপনের ছবি ফুটে উঠেছে তার সোশ্যাল মিডিয়ায়। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে দিল্লিতে থাকলেও, নির্বাচনের সময় এবং প্রতি বছর ঈদের সময় হলদিয়ায় আসতো মূল অভিযুক্ত।

ঈদের সময় প্রচুর দামি দামি জিনিস দান করতো গ্রামবাসীদের মধ্যে। এরই মধ্যে এই মামলায় জড়িত পাঁচ প্রধান অভিযুক্তের উপর NSA আরোপ করা হয়েছে।জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে দিল্লি হিংসায় জড়িত পাঁচ মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রধান আসামি আনসার ছাড়াও আসামি সেলিম, ইমাম শেখ ওরফে সোনু, দিলশাদ ও আহিরের নাম রয়েছে এই তালিকায়।

এর পাশাপাশি আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং বর্তমানে অভিযুক্তদের সনাক্ত করার পরে গ্রেফতার করা হচ্ছে। অস্ত্র সরবরাহকারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম গুল্লি। এখনও পর্যন্ত মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভবিষ্যতেও আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হতে পারে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।