তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত পুরুলিয়া

তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত পুরুলিয়া

বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল পুরুলিয়ায়। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতরা হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের এক যুব কর্মীর দোকানে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার নেপথ্যে বিজেপির পুরুলিয়ার বিধায়কের দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তৃণমূল।

অন্যদিকে বিজেপির দাবি, তাঁদেরই এক কর্মীকে বেদম মারধর করেছেন তৃণমূলের লোকেরা। কী কারণে এই হামলা? সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি পোস্ট করেন তৃণমূল কর্মী তুষার অবস্থি। এরপরই রাতের দিকে সদলবলে বিধায়ক এসে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর দোকানে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ।

তুষারকেও বিধায়কের লোকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ। বিজেপির তরফ থেকে শহর মণ্ডল সভাপতি সত্যজিত অধিকারী বলেন, তুষারের লোকজনই বেধড়ক মারধর করেছেন বিজেপির নেতাকর্মীদের ওপর। তাঁদের কর্মী দীপক বাউড়ি, তুষার অবস্থিরা আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে খবর।

ঘটনায় বিজেপির প্রবল সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা পুরুলিয়া পৌর সভার পৌরপ্রধান নব্য়েন্দু মাহালি। তিনি বলেন, “বিধায়কের বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ প্রচুর রয়েছে। সদর থানার পুলিশ বিষয়টি দেখছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুলিশ ব্যবস্থা নিক।” ঘটনার তুষার অবস্থি বলেন, “আমি বিধায়ককে ফোন করেছিলাম সকালে দুটো রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট লাগবে।

বিধায়ক জানিয়েছিলেন আমি পুরুলিয়াতে নেই, কলকাতায় আছি। আমি ফেসবুকে লিখেছিলাম, একজন সাধারণ মানুষ বিধায়কের কাছ থেকে রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট পাচ্ছে না। তার জন্য আমার দোকানে ঢুকে মারধর করেন বিধায়ক ও তাঁর লোকেরা। আমি তখন একা ছিলাম দোকানে। ওঁরা ইট, পাথর দিয়ে মেরেছে।”

বিজেপি কর্মী দীপক বাউড়ি বলেন, “রাস্তায় অনেক লোক জমা ছিল। হঠ্ করে আমাদের গালাগালি দিয়ে ওঁরাই মারধর করা শুরু করেন। তুষারই প্রথম আমাকে মারে। ইট দিয়ে মারতে আসে। ওঁরই লোকজন ইট ছুড়ছিল, সেই ইটেই ওঁর লেগেছে।” বিধায়ক অবশ্য এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।