পুরুলিয়ায় বিয়ে বাড়ি থেকে অদূরেই উদ্ধার হল তাঁর রক্তাক্ত দেহ

পুরুলিয়ায় বিয়ে বাড়ি থেকে অদূরেই উদ্ধার হল তাঁর রক্তাক্ত দেহ

বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে আগত অনান্য অতিথিদের সঙ্গে মজাও করেছিলেন। তারপরই ওই যুবকের মর্মান্তিক পরিণতি। বিয়ে বাড়ি থেকে অদূরেই উদ্ধার হল তাঁর রক্তাক্ত দেহ। দেহে একাধিক ক্ষত ছিল। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডীতে। মৃতের নাম লখিন্দর মুর্মু।

জানা গিয়েছে, রবিবার রাত্রে পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যা পাহাড় এলাকার বাড়েলোহর গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বছর বিয়াল্লিশের লখিন্দর। তাঁর বাড়ি অযোধ্যা পাহাড়ের ভুঁইঘোরা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি তাঁর বাড়ি থেকে বাড়েলোহর গ্রামে এক বিয়ে বাড়ির ভোজ খেতে গিয়েছিলেন।

রবিবার ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। সোমবার ভোররাতে সেই বাড়িরই অদূরে রাস্তার ধারে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই দেহটি উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। লখিন্দরের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, দেখে মনে হচ্ছে, লাঠি, লোহার রড ছাড়াও ধারাল কোনও বস্তু দিয়ে তাঁকে একাধিকবার আঘাত করা হয়েছে। তার জেরে মৃত্যু। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাথরডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিত্‍সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

দেহটি ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে লখিন্দরের পরিবার। লখিন্দর তৃণমূল কর্মী ছিলেন বলে দাবি পরিবারের।

তার মৃত্যুতে অন্য রাজনৈতিক কারণও থাকতে পারে, তদন্তের দাবি তুলেছে পরিবার। জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি খোঁজ খবর করে দেখছেন তিনি। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।