দেড়শো টাকা দিয়ে লটারি কেটে কোটিপতি মুর্শিদাবাদের সিভিক ভলান্টিয়ার

দেড়শো টাকা দিয়ে লটারি কেটে কোটিপতি মুর্শিদাবাদের সিভিক ভলান্টিয়ার

দেড়শো টাকা দিয়ে লটারি কেটেছিলেন ফরাক্কা থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই লটারিই যে একবেলাতেই ভাগ্য ফিরিয়ে দেবে, তা বুঝতে পারেননি আব্দুর রাকিব শেখ ওরফে সাদ্দাম। আপাতত কোটিপতি এই যুবক।  ফরাক্কা থানার কর্তব্যরত সিভিক আব্দুর রাকিব শেখ শনিবার সকালে এনটিপিসি ফাঁড়ির সামনে একটি দোকান থেকে দেড়শো টাকার লটারির টিকিট কাটেন।

মাত্র এক বেলাতেই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে, তা ভাবতেও পারেননি এই সিভিক ভলান্টিয়ার। দুপুর একটায় তিনি জানতে পারেন সেই টিকিটে কোটি টাকা জয়ী হয়েছেন তিনি। অর্থাৎ এক বেলাতেই এই যুবকের ভাগ্যের চাকা বদলে গিয়েছে।  জানা গিয়েছে, ফারাক্কা থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন আব্দুর রাকিব শেখ। কোটিপতি হওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা তিনি।

আব্দুর বলেন, "মাঝেমঝ্যেই লটারির টিকিট কাটতাম। কিন্তু, কোটিপতি হব কোনওদিন ভাবিনি।" সাদ্দামের বাবা পেশায় টাঙ্গা চালক। আনন্দে আত্মহারা আব্দুরের বাবা বলেন, "ছেলে লটারি জিতেছে শুনে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। লটারির টাকায় পরিবারের সদস্যদের জীবনের মোড় বদলে যেতে পারে।"  এদিকে এই খবর জানাজানি হতেই সাদ্দামের বাড়িতেও ভিড় জমান অনেকে।

এলাকায় হইচই পড়ে যায়। এই সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রতিবেশীর কথায়, "রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু, এক বেলায় কোটিপতি! আব্দুরের পুরো পরিবারের জন্য অত্যন্ত খুশি।" এদিকে, টিকিটে কোটি টাকা পেয়েই ফরাক্কা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন আব্দুর। তাঁরা তিন ভাই। লটারি জেতায় খুশির হাওয়া বইছে এই মধ্যবিত্ত পরিবারে।