বৈষ্ণবনগরে পুলিশের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ

বৈষ্ণবনগরে পুলিশের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ

নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এক তৃণমূল কর্মীকে খুঁজতে এসেছিল পুলিশ। সে সময় বাড়িতে ছিলেন না তিনি। অভিযোগ, পুলিশ গেট ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে হেনস্থা করে। এমনকী হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ওই মহিলাকে ধাক্কা দেন বলেও অভিযোগ। এমনকী ঘরের খাবার, জিনিসপত্র, জামাকাপড়ও তছনছ করেন। বৈষ্ণবনগর থানার এএসআই নইমুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে।

এমনকী তিনি ওই তৃণমূল কর্মীর বিছানার তলা থেকে ৪৫ হাজার টাকা লোপাটও করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীর দাবি, এই ঘটনায় তাঁর সঙ্গী ছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই এএসআই নইমুদ্দিন শেখ বলেন, “এটা সাজানো ঘটনা। আমি আমার ডিউটি করতেই গিয়েছিলাম। এরকম কিছুই ঘটেনি।

আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।” এই ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বৈষ্ণবনগর থানার কৃষ্ণপুরে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেন, এর যথার্থ বিচার চাই। এএসআই নইমুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। কৃষ্ণপুরের তৃণমূল কর্মী ফকরুদ্দিন আহমেদ। অভিযোগ, কৃষ্ণপুরের ঠিকাদারি কাজ পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয়।

তৃণমূলের গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী তথা ঠিকাদার ও তাঁর সঙ্গীরা। সেখানেই ছিলেন ফকিরুদ্দিন আহমেদও। থানায় দুই পক্ষই অভিযোগ দায়ের করে। তারই ভিত্তিতে বৈষ্ণবনগর থানার এএসআই নইমুদ্দিন শেখ ফকরুদ্দিনের বাড়ি যান। সঙ্গে এক সিভিক ভলান্টিয়ারও ছিলেন। সেই সময় ফকরুদ্দিন বাড়িতে ছিলেন না।

ছিলেন তাঁর স্ত্রী ববি বিবি ও দুই সন্তান। এই দুই সন্তানের মধ্যে একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। ফকরুদ্দিনকে না পেয়ে তাঁর বাড়ি পুলিশ তছনছ করে বলে অভিযোগ। রমজানের মাসে রান্না করা খাবার থেকে শুরু করে বাসনপত্র সমস্ত কিছুই ফেলে দেন। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি রহিম বক্সি বলেন, “জরুরি ভিত্তিতে আমরা বৈঠক করেছি।

আলোচনা করেছি। আমাদের এক প্রতিনিধি দল ওর বাড়িতে যাবে। বিষয়টা দেখবে। দলগতভাবে তদন্ত হবে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সে আমাদের দলের কোনও নেতা হোক কিংবা প্রশাসনিক আধিকারিক।” অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও ব্লকের তৃণমূল সহ-সভাপতি আসরাফুল ইসলাম বলেন, “সোমবার এলাকায় কিছু পুলিশের সন্ত্রাস হয়েছে।

সন্ধ্যায় বৈষ্ণবনগর থানার এএসআই নইমুদ্দিন শেখ এসে ফকিরুদ্দিনের বাড়িতে জোর করে ঢুকে তছনছ করেছে। গিয়ে দেখলাম সব ভেঙে দিয়েছে। শুনছি তোষক উল্টে ৪৫ হাজার টাকাও নিয়ে গিয়েছে। নোংরা কথা বলেছে শুনলাম। নইমুদ্দিনের শাস্তি চাই।” ইতিমধ্যেই বৈষ্ণবনগর থানায় নইমুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।