শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে মহিলা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে মহিলা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

পরিবারে অশান্তি ছিলই। আর তার জেরেই এক দিন স্বামী খুর চালিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর গলায়। সেই অভিযোগে পুলিশ তাঁর স্বামীকে আটকও করেছে। গলায়-হাতে ক্ষত নিয়ে গত সপ্তাহ থেকে শক্তিনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন বছর চল্লিশের ওই মহিলা। তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। মহিলা ওয়ার্ডে রয়েছেন। তবে মনে ও শরীরের ক্ষতে বিধ্বস্ত ওই মহিলা।

সঙ্গে ওষুধেরও ঘোর রয়েছে। ফলে দিনের বেশিরভাগ সময়েই ঘুমিয়ে-ঝিমিয়ে থাকেন তিনি। বলছেন ওই ওয়ার্ডেরই বাকি রোগীরা। সোমবার সন্ধ্যায় ওয়ার্ডের বেডেই মত্ত এক ব্যক্তির ঘৃণ্য আচরণের শিকার ওই মহিলা। হাসপাতালের অনান্য রোগীরা বলছেন. সন্ধ্যায় ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। তিনি মত্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ। ওই ব্যক্তির মহিলার বেডের আশপাশ দিয়ে ঘুরতে থাকেন।

তারপরই ঘুমন্ত ওই মহিলার শরীর স্পর্শ করতে থাকেন বলে অভিযোগ। দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে চেঁচিয়ে ওঠেন ওই ওয়ার্ডে ভর্তি অনান্য রোগীরা। তখনই তড়ঘড়ি পালিয়ে যান অভিযুক্ত। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডেই এক রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি সন্ধ্যার পর থেকেই মহিলা ওয়ার্ডের সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন।

সে সময় তিনি অনেকেই তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি বারণ শোনেননি। অভিযোগ, সেসময়ে হাসপাতালের কোনও কর্মী ওখানে ছিলেন না। পরে সুযোগ বুঝে মহিলা ওয়ার্ডের ভিতরেই ঢুকে পড়েন ওই ব্যক্তি। সামনের দিকের বেডেই শুয়ে ছিলেন ওই মহিলা। তাঁর গলায় ব্যান্ডেজ ছিল, হাতে ক্ষত। প্রায় অচৈতন্য অবস্থাতেই ওই মহিলা বেডে শুয়ে ছিলেন।

অভিযোগ, ওই ব্যক্তি সেই সুযোগে মহিলার সঙ্গে শরীরের হাত বোলাতে থাকেন। সেটা দেখেই চিত্‍কার করতে থাকেন ওয়ার্ডের অনান্য রোগীরা। হাসপাতালের কর্মীরা দৌড়ে আসার আগেই ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান। হাসপাতালের এক রোগী বললেন, “আমি প্রশ্ন করেছিলাম, এখানে ঘুরছেন কেন? আপনি তো মদ্যপান করেছেন? কিন্তু শুনছিল না আমাদের কথা।

একেবারে ওয়ার্ডের ভিতরেই ঢুকে আসে। তারপর দেখি এই কাণ্ড।” এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। কী ভাবে ‘ভিজিটিং আওয়ার্সের’ পরও ওই ব্যক্তি ওয়ার্ডের ভিতর ঢুকে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। আদৌ ওই অভিযুক্ত হাসপাতালেরই কোনও কর্মী কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতাল নিজের মতো তদন্ত শুরু করেছে।