দুর্নীতিতে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা কে সন্দেহ ED-র

দুর্নীতিতে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা কে সন্দেহ ED-র

 

বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এবার অসন্তোষ প্রকাশ খোদ পুলিশমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকী পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ঠেকাতে 'দুর্নীতি বিরোধী সেল' গঠনের কথাও জানিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, পুলিশের একাংশ অন্যায় দেখেও চোখ বন্ধ করে রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যের একাধিক ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আঙুল উঠেছে মমতার দিকেও। কারণ তিনি নিজেই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। এই আবহে মমতা নিজেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন ED 

সূত্রের খবর, তাঁর গাড়ি থাকত খাদ্যমন্ত্রীর কনভয়ে। সুতরাং সেই বাকিবুর রহমান যে কতটা প্রভাবশালী, সেটা সহজেই অনুমানযোগ্য। তবে রাজ্য পুলিশ কেন তদন্ত থেকে বাদ রাখল বাকিবুরকে? তা নিয়ে এবার সন্দেহ প্রকাশ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রেশনে চাল শুধু নয়, আটা নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি ইডি-র।

সেই দুর্নীতির ক্ষেত্রে পুলিশের খাতায় চালকল মালিক বাকিবুরের নাম উঠল না কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে রাজ্য পুলিশ এই দুর্নীতি সংক্রান্ত তিনটি মামলা করে তদন্ত করে। সবকটি অভিযোগই ছিল নদিয়ার। কোতোয়ালি, নবদ্বীপ ও কৃষ্ণনগর থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করেছিল পুলিশ। তৈরি হয় চার্জশিটও।

সেই মামলা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ইডি জানতে পেরেছে, খোলা বাজারে সরকারি স্ট্যাম্প মারা রেশনের আটা বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই আটা বাকিবুরের মিলে ভাঙানো হত বলে দাবি ইডি-র। কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রশ্ন তুলছে, তিনটি মামলার তদন্ত হল অথচ বাকিবুরের নাম সামনে এল না কেন? তদন্ত হওয়া সত্ত্বেও বাকিবুরের মিলে পুলিশ অভিযান চালাল না কেন?

নদিয়া জুড়ে যাঁর একাধিক চালকল, তিনি কীভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে গেলেন? কোনও প্রভাবশালীর হাত থাকাতেই পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, এমন সন্দেহও উড়িয়ে দিচ্ছে না ইডি। উল্লেখ্য, কেন্দ্র থেকে রাজ্যে রেশনের যে গম আসে, তা ভাঙিয়ে আটা তৈরি করা হয় এমন সব মিলে। সেখান থেকে ডিস্ট্রিবিউটারদের হাতে যায় আটা। তারাই বিভিন্ন রেশন দোকানে পৌঁছে দেয় সে সব। সেই আটা অবৈধভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে জেনেও মিলকে তদন্ত থেকে কেন বাদ দেওয়া হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।