মালদায় ব্যাপক হারে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে

মালদায় ব্যাপক হারে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে

মালদা: বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ করানোর নাম করে প্রতিনিয়ত ব্যাপক হারে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীর ও তার অভিভাবকরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বদলের দাবি অভিভাবকদের।

এমনই ঘটনা সামনে এসেছে মালদার মানিকচক ব্লকের মথুরাপুরের ফততেনগর রায়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের TIC  বিরুদ্ধে।যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি ওই শিক্ষকের। ফততেনগর রায়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের TIC মাধব মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকরা।অভিযোগ, গত সোমবার বিদ্যালয় খোলার পর বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রীকে শৌচালয় সহ বিদ্যালয়ের চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজ কড়াচ্ছিলেন শিক্ষক মাধব মন্ডল।

পরিষ্কার করে দেওয়ার পরও সামান্য নোংরা থেকে যাওয়া ৫-৬ জন ছাত্রছাত্রীকে ব্যাপকহারে মারধর করে শিক্ষক বলে অভিযোগ। ছাত্র-ছাত্রীরা পরিবারের সদস্যদের শিক্ষকের মারধরের ঘটনা জানাই।তারপর মঙ্গলবার মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় ওই ছাত্র-ছাত্রীদের।অবশেষে বুধবার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা মানিকচক থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়।শিক্ষক মাধব মণ্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

খুদে ছাত্রীরা জানান, বিদ্যালয়ে পরিষ্কার করতে বলেছিলেন শিক্ষক মাধব মন্ডল। একটু নোংরা থেকে যাওয়াই হাত দিয়ে ব্যাপকভাবে মারধর করে। রুচি মারধর করে বাড়িতে না জানানোর জন্য বলে।মারধর করাই স্কুলে যেতে এখন ভয় লাগছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত ছোট বাচ্চা ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর করে এই শিক্ষক। বাড়িতে না জানানোর জন্য ভয় দেখায়।

ঐ শিক্ষককে বলতে গেলে নানান রকম হুমকি দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো কারণ ছাড়ায় ব্যাপক হারে মারধর করে এই শিক্ষক। গোটা বিষয় পঞ্চায়েত এসআই দপ্তর ও পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে।আমরা চাই কিছু একটা ব্যবস্থা হোক এই শিক্ষককে বদলি করা হোক। এই শিক্ষক থাকলে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যেতে ভয় পাচ্ছে মারধরের কারণে।

যদিও সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি বিদ্যালয়ের টিআইসি মাধব মন্ডলের। তিনি জানান, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেশ কিছু মানুষ এই সমস্ত অভিযোগ তোলে তাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। প্রতিদিন বিদ্যালয় চত্বরে ঝার দেওয়া শৌচালয় পরিস্কার করা নিজ হাতেই করেন। আমাকে সরিয়ে দিয়ে বিদ্যালয়ে সুবিধা পেতে চাইছে এমনকি ফাঁকি মারার উদ্দেশ্য রয়েছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সততার সাথে কাজ করে আসছি বলে দাবি তার। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দুলাল কর্মকার জানান, প্রতিনিয়ত বিদ্যালয় পঠন-পাঠন থেকে সমস্ত কিছু সময় মত হয়। মারধরের যে অভিযোগ রয়েছে যদি কোনো শত্রু থাকে তাহলে বিদ্যালয়ের সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখুন প্রশাসন। আর প্রশাসনের কাছে যখন অভিযোগ হয়েছে আমরাও চাই প্রশাসন সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।