বিশ্বভারতীর হোস্টেল থেকে উদ্ধার একাদশ শ্রেণির ছাত্রের দেহ

বিশ্বভারতীর হোস্টেল থেকে উদ্ধার একাদশ শ্রেণির ছাত্রের দেহ

বিশ্বভারতীর হোস্টেল থেকে উদ্ধার ছাত্রের দেহ। পাঠভবনের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া অসীম দাসের দেহ সকালে হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে কী কারণে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারদের জেরে হোস্টেল জুড়ে শুরু হয়েছে বেলাগাম ভাঙচুর। সব মিলিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সেখানে।

সূত্রের খবর, বিশ্বভারতীর উত্তর শিক্ষা হোস্টেলে সকাল আটটা নাগাদ একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসীম দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘরের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথমেই তাঁকে দেখতে পায় হোস্টেল কর্তৃপক্ষ। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্বভারতীর পিআরসেন মেমোরিয়াল হাসপাতালে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে।

পরে হাসপাতাল থেকে দেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বুধবারও রাত দশটা নাগাদ বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে অসীম কথা বলেছে। তারপরে কী করে সে আত্মহত্যা করতে পারে? এটা আত্মহত্যা নয়, ছেলেটিকে মেরে ফেলা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ করছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, পরিবার আরও জানিয়েছে তাদের আশার আগেই কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়ে গেল?

এই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। তবে অন্যদিকে, প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছে। মানসিক অবসাদের কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রের দাদু বলেন, “আমরা হাসপাতালে এসে দেখছি মৃতদেহ গাড়িতে চাপানো হয়েছে। তারপর নাতির গলায় দেখলাম দাগ।

গলায় কিছু চালিয়ে মেরে দেওয়া হয়েছে। হোস্টেলের ছেলে এবং ওয়ার্ডেন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।” মৃতের বাবা বলেন, “আমার ছেলেকে হোস্টেলেই মেরে ফেলা হয়েছে। এই কাজে ওয়ার্ডেন দায়ী।” আরও এক আত্মীয় বলেন, “নিশ্চয়ই হোস্টেলে কিছু খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ওকে।”