স্কুল বন্ধের আশঙ্কায় বিক্ষোভে নেমে রাস্তা অবরোধ করলেন অভিভাবকরা

স্কুল বন্ধের  আশঙ্কায় বিক্ষোভে নেমে  রাস্তা  অবরোধ করলেন অভিভাবকরা

স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই আশঙ্কায় বিক্ষোভে নেমে পড়লেন অভিভাবকরা। অবরোধ করলেন রাস্তা। আসানসোল জিটি রোড ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুলের এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু কোন স্কুলিগুলি বন্ধ হবে? সম্প্রতি, রেলের তরফে একটি নোটিশ জারি হওয়ায় পরে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের রেলের হাইস্কুল গুলোর ভবিষ্যত্‍ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

দিন কয়েক আগে আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল পার্সোনাল অফিসার বা সিনিয়র ডিপিওর তরফে আসানসোল ও অন্ডালের দুটি হাইস্কুল এবং একটি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে এক চিঠি পাঠান হয়েছে। ঐ চিঠি নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দিতে বলা হয়েছে স্কুলে। চিঠিতে পরিষ্কার করে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এই স্কুল গুলিতে ছাত্র ও ছাত্রীদেরকে আর ভর্তি করা যাবে না।

পাশাপাশি, একই সঙ্গে ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, রেল পর্ষদের নির্দেশ মেনে ও পূর্ব রেলের সমীক্ষায় দেখা গেছে এই স্কুলগুলিতে অত্যন্ত কম সংখ্যায় রেল কর্মীদের ছেলেমেয়েরা পড়ুয়া হিসেবে পড়াশোনা করছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে, রেলের আর এই স্কুলগুলো চালানোর যুক্তি নেই।

এই কারণে ওই নোটিশে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব পড়ুয়ারা এইসব স্কুলে পড়ছে তাদের অভিভাবকরা কাছাকাছি বা পার্শ্ববর্তী কোনও স্কুলে যেন ছেলেমেয়েদের ভর্তি করে দেন। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাওয়ার পরে এইসব স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

তারা ধরে নিয়েছেন বা অনেকটাই নিশ্চিত যে, স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য এইভাবে একটু ঘুরিয়ে রেলের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তবে, শুধু মাত্র আসানসোল ডিভিশন নয়, বাংলার অন্য ডিভিশন সহ সারাদেশে রেল পরিচালিত প্রায় ১০০টির মতো স্কুলের ক্ষেত্রে একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বলেন, “এদিন, বিষয়টির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বের করে তৃণমূল। কালো পতাকা দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। স্কুল বন্ধের যে সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছে তা প্রতিহিংসা পরায়ণ। এর বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাই।”