অসমে টিফিনে গো-মাংস নিয়ে এসে সহকর্মীদের খাওয়াতে গিয়ে গ্রেফতার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা!

অসমে টিফিনে গো-মাংস নিয়ে এসে সহকর্মীদের খাওয়াতে গিয়ে গ্রেফতার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা!

স্কুলের টিফিনে গুছিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন গো-মাংস এবং সেই খাবার সহকর্মীদেরও অফার করেছিলেন। আর স্কুলে সেই গো-মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হল অসমের (Assam) এক শিক্ষিকাকে। আপাতত তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর (Viral News)।

বৃহস্পতিবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এটা অসমের গোয়ালপাড়া জেলার লখিপুর এলাকার ঘটনা। সেখানকার কিছু স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে হুরকাচুঙ্গি মিডল ইংলিশ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দালিমা নেসা-কে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১৪ মে তিনি টিফিনে গোমাংস নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন।

আর সেই গোমাংস (Beef) সহকর্মীদেরকেও খাওয়ার জন্য বলেছিলেন। বিষয়টা অনেকেই ভাল ভাবে নেননি। আর যেদিন এই ঘটনাটি ঘটেছে, সেদিনই আবার স্কুলে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে একটি পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার আয়োজন হয়েছিল। সেখানে সরকারি স্কুলের কার্যকারিতা এবং সরকারি স্কুল পড়ুয়াদের কী কী সুবিধা দিচ্ছে, সেই বিষয়েই আলোচনা সভা চলছিল।

গোয়ালপাড়া জেলার এএসপি (সদর) মৃণাল ডেকা জানিয়েছেন, দালিমাকে গ্রেফতার করার পর বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। তার পরেই ওই শিক্ষিকাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। দালিমার বিরুদ্ধে আইপিসি-র সেকশন ১৫৩এ এবং ২৯৫এ ধারায় মামলা করা হচ্ছে। এই গো-মাংস কাণ্ডে আরও তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।

কিন্তু গো-মাংস কেনা-বেচা নিয়ে কী বলছে রাজ্যের আইন? গত বছরই রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া অসম গবাদি পশু সংরক্ষণ আইন (Assam Cattle Preservation Act) বলছে, গোমাংস কেনাবেচার ক্ষেত্রে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা নেই রাজ্যে। তবে অসমের যেসব অংশে হিন্দু, জৈন, শিখ এবং অন্যান্য গোমাংস ভক্ষণকারী নয়,

এমন সম্প্রদায়ের বাস, সেসব জায়গাতে অবশ্য গোমাংস বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ওই আইন অনুযায়ী, কোনও মন্দির, সত্র-সহ হিন্দু ধর্মের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেও গোমাংস বিক্রয় নিষিদ্ধ। এই প্রসঙ্গে ওই পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, গোয়ালপাড়ার স্কুলের ওই ঘটনার ক্ষেত্রে কিন্তু অসম গবাদি পশু সংরক্ষণ আইন প্রযোজ্য হবে না, কারণ এটা তো আর গো-মাংস বিক্রি বা জবাইয়ের ঘটনা নয়!