দুই মেদিনীপুরে বজ্রাঘাত ও গাছের ডাল ভেঙে ৪ জনের মৃত্যু

দুই মেদিনীপুরে বজ্রাঘাত ও গাছের ডাল ভেঙে  ৪ জনের মৃত্যু

দীর্ঘ দাবদাহের  (heatwave)পর অবশেষে স্বস্তির কালবৈশাখী (norwester)। কিন্তু ঝড়ের তাণ্ডবে দক্ষিণবঙ্গের (south bengal) একাধিক জায়গায় নাকাল হতে হল সাধারণ মানুষকে। কোথাও হল নৌকাডুবি, কোথাও ব্যাঘাত ঘটল ট্রেন পরিষেবায়। দুই মেদিনীপুরে বজ্রাঘাতে ও গাছের ডাল পড়ে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দীগ্রামের দেবীপুরে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে মা ও ছেলের। এদিকে ময়নাতে গাছ ভেঙে মৃত্যু হয়েছে এক বালকের। পশ্চিম মেদিনীপুরে তোরণ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে আগামী ৫ দিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে। ২-৩ মে সবথেকে বেশি ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

নতুন মাসের শুরু সপ্তাহে প্রত্যেকদিনই বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনায়। একই পূর্বাভাস পার্শ্ববর্তী জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেও ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ খানিক কম থাকবে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাতে।

বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে হাও়ড়া, হুগলী, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে। তবে সব জেলাতেই ৩ ও ৪ তারিখ ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে আগামী ৫ তারিখের পর থেকে ধীরে ধীরে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। ইতিমধ্যেই বৃষ্টির জেরে গতকাল থেকে ধীরে ধীরে পারদ নামতে শুরু করেছে গোটা বাংলাতেই।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতই তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে। আগামী চার দিন এই পারাপতন অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে শনিবার দক্ষিণ বঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে।

সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারা ২৬.৯ ডিগ্রির আশেপাশে ছিল। আগামিকাল তিলোত্তমার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। তবে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও।