আসানসোলে এনডিআরএফের চেষ্টায় পরিত্যক্ত গভীর পাথর খাদান থেকে উদ্ধার দেহ

আসানসোলে এনডিআরএফের চেষ্টায় পরিত্যক্ত গভীর পাথর খাদান থেকে উদ্ধার দেহ

পরিত্যক্ত পাথর খাদানে স্নান করতে এসেছিল দুই যুবক। কিন্তু ৩০০ ফুট গভীর পাথর খাদানের জলে নেমে হল বিপত্তি। মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যায় তারা। মৃত মহম্মদ বরকাতুল্লা আনসারি (১৯) ও বুধার মহম্মদ ফারহান (১৭)-কে উদ্ধারের জন্য নামে জেলা প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বাহিনী। কিন্তু ব্যার্থ হয় তাঁরা। এরপর শুক্রবার সকাল নাগাদ কলকাতা থেকে এনডিআরএফের উদ্ধারকার দলের আসার কথা ছিল।

দুই যুবকের পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয় বাসিন্দারা শুক্রবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু উদ্ধারকারী দল কলকাতা থেকে দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত আসেনি। অথচ পুলিশের তরফে বারবার তাদের আশ্বাস দেওয়া হয় যে তারা আসছে। এরপর দুই যুবকের পরিবারের সদস্যরা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আসানসোল শহরের জিটি রোডে হটন রোড ও সিটি বাস স্ট্যান্ড সংযোগস্থলে রাস্তা অবরোধ করে ও বসে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন।

রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আগুন লাগানো হয়। যার জেরে বাস সহ যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, তাঁদের ছেলেদের মৃত বা জীবিত উদ্ধার করে দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কলকাতা থেকে এনডিআরএফের উদ্ধারকারী দল এসে পৌঁছয়। এই খবর তাদেরকে দেওয়া হলে তাঁরা প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলা অবরোধ প্রত্যাহার করে আবার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুরের মহম্মদ বরকতুল্লা বৃহস্পতিবার দুপুরে টোটো করে মহম্মদ ফারহান সহ আরও ৫ জনকে নিয়ে আসানসোল উত্তর থানার কেডি সিং এলাকায় আসে। সেখানে তারা একটি পাথর খাদানের জলে স্নান করতে নামে। কিন্তু আচমকাই বরকাতুল্লা ও ফারহান সাড়ে ৩০০ ফুট গভীর পাথর খাদানের জলে তলিয়ে যায়।

তা দেখে অন্যরা এলাকা ছেড়ে চলে আসে ও দুজনের বাড়ির লোকেদের সেই খবর দেয়। শেষ পর্যন্ত পরিবারের মানুষদের আশঙ্কা সত্যি করে রাত সাড়ে আটটার পরে এনডিআরএফের দল পাথর খাদানে তলিয়ে যাওয়া দুজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।