আসানসোলে প্রচার শেষে বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি

আসানসোলে প্রচার শেষে বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি

আসানসোলে লোকসভা উপনির্বাচনের আবহে পাণ্ডবেশ্বরে বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠল। রবিবার রাত সা়ড়ে ৭টায় পাণ্ডবেশ্বর থানার কুমারডিহি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ভোটের দু’দিন আগে বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচন রয়েছে।

এদিন বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। নির্বাচনের দু'দিন আগে কেন্দ্রে এক বিজেপি নেতার গাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছে উপনির্বাচনের প্রচার-পর্ব। এর পর দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভোট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা সেরে গাড়ি করে ফিরছিলেন পশ্চিম বর্ধমানে বিজেপি-র মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জিতেন চট্টোপাধ্যায়।

ওই সময় তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি-র দাবি, জিতেনের গাড়ি লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। গাড়ির ডান দিকের সামনের কাঁচেও গুলি লেগেছে। এই ঘটনার পরেই উখড়া ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন জিতেন। কিন্তু ঘটনাটি যে হেতু পাণ্ডবেশ্বর থানা এলাকায় ঘটেছে, পরে সেখানেই অভিযোগ দায়ের করতে হয় বিজেপি নেতাকে।

কে বা কারা তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো, এই প্রশ্নের উত্তরে  পশ্চিম বর্ধমানে বিজেপি-র মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জিতেন চট্টোপাধ্যায় বলেন পাণ্ডবেশ্বর থেকে ফিরছিলাম। কুমারডিহির কাছে নেমেছি। তখন গাড়ির সামনে চলে আসে। আর সঙ্গে সঙ্গেই গুলি চালায়। প্রথম রপাউন্ড যখন ফায়ার করে আমি তো চমকে যাই। এত জোর কানে শব্দ হয়।

আমি তো স্টিয়ারিং ছেড়ে দিই। আমি কোনও রকম গাড়ি ফার্স্ট গিয়ারে চালাই। আমাকে যখন গুলি মারছে, আমাকে মারার চেষ্টা করেছে।"তাঁর অভিযোগ, গাড়ির ডান দিকের সামনের কাচে একটি গুলি লাগে। মোট ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরই তারা অভিযোগ দায়ের করতে উখদা ফান্ডিতে পৌঁছায়। তবে যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পাণ্ডবেশ্বর থানার অন্তর্গত। উখদা ফান্দি থানায় একই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। 

এই বিষয়ে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে জানি না আমি। পুলিশকে তদন্ত করে সত্য উদ্‌ঘাটন করতে বলব।’’ আসানসোলের লাউদোহার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সৃজিত মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, বিজেপি নেতার ওপর হামলা হয়েছে বলে শুনছি। দু'দিন পর ভোট। ভোটে বাজিমাত করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু না। সাজিয়ে করার চেষ্টা করছে। যদি হয়ে থাকে, আমি পুলিশকে বলছি উপযুক্ত তদন্ত করে অ্যারেস্ট করতে। যেই করে থাকুক না কেন। কিন্তু এগুলো মিথ্যে কথা। বাজার গরম করার কথা। কারণ এখন বিজেপি কোনও কর্মী-সমর্থককে পাচ্ছে না। আজ নিজে সাজিয়ে এই জিনিস করার চেষ্টা করছে।