বিজেপিতে বাড়ছে অস্বস্তি, নদিয়ায় পদ ছাড়লেন ১০ নেতা

বিজেপিতে বাড়ছে অস্বস্তি, নদিয়ায় পদ ছাড়লেন ১০ নেতা

মুর্শিদাবাদের পর এবার বঙ্গ বিজেপির অন্দরে অস্বস্তি আরও বাড়ল নদিয়া Nadia জেলা নেতৃত্ব। রবিবার সকালেই রাজ্য নেতৃত্বের উপর আঙুল তুলে বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের দীর্ঘদিনের পদ্ম নেতা গৌরিশঙ্কর ঘোষ। এবার সেই বিদ্রোহের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে নদিয়াতেও। নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার ১০ বিজেপি নেতা এবার দলের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

ওই দশ জনের মধ্যে রয়েছেন সাংগঠনিক জেলার তিন জন সাধারণ সম্পাদক ( সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভাস চন্দ্র মণ্ডল ও প্রাণবন্ধু বিশ্বাস), চার জন সহসভাপতি (বিপদভঞ্জন কাঞ্জিলাল, অনন্ত কুমার সরকার, নিলয় সাহা ও সন্দীপ কুমার গঙ্গোপাধ্যায়) এবং তিন জন সম্পাদক (শতাব্দী অধিকারী, হিরণ্ময় সরকার ও শ্বান্তনা সরকার)।

নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার ওই পদাধিকারীরা ওই গণ ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সংগঠন সম্পাদকের কাছে এবং নদিয়া উত্তর জেলা কমিটির সভাপতির কাছে। পদত্যাগকারী বিজেপির সহসভাপতি সন্দীপ কুমার গঙ্গোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “আমরা ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছি।

বিষয় সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য সভাপতি। নতুন যে কমিটি তাতে আমাদের স্থান দেওয়া হয়েছিল। আগের কমিটিতেও আমি ছিলাম। কিন্তু পদত্যাগের মূল কারণ হল, নতুন যে কমিটি তৈরি হয়েছে তাতে যাদের স্থান দেওয়া হয়েছে, সেখানে জেলা সভাপতি বা কার্যকর্তারা অনেকক্ষেত্রেই সকলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। তারফলে আমাদের নির্বাচনে ফলাফল খারাপ হচ্ছে।

পুরভোটে দলের ফল আরও ভাল হতে পারত। সকলকে না নিয়ে চলাটা একটি বড় কারণ। মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একতরফাভাবে করা হয়েছে। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি করা হলে ভাল হত। এইগুলিই প্রধান কারণ। যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেই থাকতে না পারি, তাহলে পদে থাকাটা তো অর্থহীন হয়ে যায়।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা পদত্য়াগ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই পদাধিকারী।

সাধারণ সম্পাদক থেকে সম্পাদক, সহসভাপতি সকলেই রয়েছেন। প্রত্যেকেই দীর্ঘদিনের দলের কর্মী। তাঁরা কেউ চান না দলের ক্ষতি হোক। আমি ২৭ বছর ধরে দলের কর্মী। বাকিরাও ৩০-৩৫ বছর ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা সবাই চাইছেন, দল যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে।”