উত্তর দিনাজপুরে প্রলোভন দেখিয়ে চার বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষনের অভিযোগ

উত্তর দিনাজপুরে প্রলোভন দেখিয়ে চার বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষনের অভিযোগ

হাঁসখালি ও রায়গঞ্জের পর এবার ফের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উত্তর দিনাজপুরে। এবারে মোবাইলের প্রলোভন দেখিয়ে চার বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষনের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে নির্যাতিতা নাবালিকারই এক দূর সম্পর্কের কাকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায়। রাজ্যে একের পর এক নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনায় কার্যত মুখ পুড়ছে রাজ্যের।

তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে একটি ধর্ষণের ঘটনাও লজ্জার। কিন্তু রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা কিছুতেই কমছে না। এর মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় ফের ধর্ষিত এক চার বছরের নাবালিকা। নির্যাতিতা শিশুর পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে আচমকা উধাও হয়ে যায় ওই শিশুকন্যা।

অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনও লাভ হয়নি। এরপর বাড়ির পাশের এক ভুট্টার জমি থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় ওই নাবালিকাকে। ঠিক ওই সময় নির্যাতিতার পয়তাল্লিশ বছর বয়সি কাকাকেও ভুট্টার জমি থেকে বেরোতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। পরিবারের বক্তব্য, মোবাইলের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশু কন্যাকে ভুট্টার জমিতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত কাকা।

সেখানেই ওই শিশু কন্যাকে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। এদিকে ঘটনার জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতিতা শিশুকন্যার পরিবারের তরফ থেকে চাকুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। গোটা ঘটনায় কার্যত নিন্দার ঝড় উঠেছে এলাকায়।

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কাকাকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে চাকুলিয়া থানার পুলিশ। শনিবার সকালে ঠিক কী হয়েছিল, তা আরও খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, “গতকাল সন্ধ্যায় তাঁরা আমার কাছে এসেছিলেন। বিষয়টা বললেন। ঘটনাটা খুবই জঘন্য ও দুঃখজনক। আমি দেরি না করে পুলিশকে জানাতে বাধ্য হলাম। পুলিশ তারপর অভিযুক্তকে তুলে নিয়ে এসেছে। আমরা এর সুবিচার চাইছি।”