বেপরোয়া গতির জেরে ফের দুর্ঘটনা পশ্চিম বর্ধমানে

বেপরোয়া গতির জেরে ফের দুর্ঘটনা পশ্চিম বর্ধমানে

বেপরোয়া গতির জেরে ফের দুর্ঘটনা। পুলিশ ভ্যানের পিছনে ধাক্কা একটি পিকআপ ভ্যানের। গোটা ঘটনায় আহত বিচারাধীন বন্দি, খালাসি ও পুলিশকর্মী। পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল গ্রামের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। জানা গিয়েছে, ভ্যানটিতে ছিল একজন বিচারাধীন বন্দি, খালাসি ও এক পুলিশকর্মী। পিকআপ ভ্যানের খালাসিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত পুলিশকর্মী ও বিচারাধীন মহিলাকে দুর্গাপুরের গান্ধী মোড় এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আসানসোল সংশোধনাগার থেকে এক বিচারাধীন বন্দীকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ে অন্ডাল গ্রামের কাছে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ভিআইপি কনভয়কে পাস দিতে গিয়ে ঘাতক পিকআপ ভ্যানটি পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারে। ঘাকক গাড়িটির চালক বলেন, “আমি উল্টো দিক থেকে আসছিলাম। পুলিশের বড়ো ভ্যানটি দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় সামলাতে না পেরে ধাক্কা মারি গাড়িটিতে। আমার গাড়ির চাকা স্কিট করে গিয়েছিল।” আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ” পুলিশের ওই গাড়িটি আসছিল।

উল্টোদিক থেকে আরও একটি পিকআপ ভ্ান চলে আসে। গতিবেগ এতটাই বেশি ছিল যে, ব্রেক ফেল করে যায়। তারপর সজোরে এসে ধাক্কা মারে। ভ্যানটির মধ্যে অপরাধী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই ভ্যানের খালাসির গুরুতর চোট লেগেছে।” বস্তুত, শিলিগুড়ির সেবকের কাছে গণেশঝোড়ায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে। ৭০ ফুট নীচে যাত্রী নিয়ে পড়ে যায় একটি গাড়ি।

এই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়। আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত সব যাত্রীদেরই উদ্ধার করে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাস্তার ওই অংশ প্রধানত অন্ধকার থাকে। রাত বাড়ায় দোকানের ঝাঁপিও পড়ে গিয়েছিল। বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তাঁরা দেখতে পান, গাড়িটা খাদে পড়ে গিয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে একাকার অবস্থা। ভিতরে যাত্রীদের শরীরগুলো রীতিমতো স্টিয়ারিং আর সিটের সঙ্গে আটকে গিয়েছে। দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান প্রত্যক্ষদর্শীরা।