Khejuri বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ হাতে গ্রেফতার দাপুটে তিন তৃণমূল নেতা

Khejuri বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ হাতে গ্রেফতার দাপুটে তিন  তৃণমূল নেতা

খেজুরি বিস্ফোরণ Khejuri blast মামলায় এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র জালে তিন তৃণমূল নেতা। সোমবার সন্ধ্যায় খেজুরির এক দাপুটে তৃণমূল নেতা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল বুথ সভাপতি সমর শঙ্কর মণ্ডলকে। গ্রেফতার হওয়া আরও দু’জন হলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সইদুল আলি খান ও এসকে আরিফ বিল্লাকে।

গত জানুয়ারির শেষদিক থেকে খেজুরি বিস্ফোরণ মামলার তদন্তভার নিয়েছিল এনআইএ। সূত্রের খবর, আজ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই তিনজনকে তলব করে এনআইএ। তাঁদের কথাবার্তায় অসঙ্গতির কারণে তিনজন স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হল। খেজুরি বিস্ফোরণ মামলায় জানুয়ারির শেষে তদন্তভার গ্রহণের পর এই প্রথম তিনজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ।

এর আগে এই ঘটনায় প্রায় ৫০ জন তৃণমূল নেতাদের চিঠি পাঠিয়েছিল এনআইএ। সেই তালিকায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা থেকে হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরাও ছিলেন। এই গ্রেফতারের ঘটনায় কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি বলেছেন ” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করার জন্য এমন এক চক্রান্ত করেছেন।

আইন আইনের পথে চলবে। তবে জানতে পেরেছি দু’জন কর্মী গ্রেফতার হয়েছে।” প্রসঙ্গত গত ৩ জানুয়ারি খেজুরি পশ্চিম ভাঙ্গনবাড়ি গ্রামের একটি তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে দুই জন তৃণমূল কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

ঘটনা পরিদর্শনে যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে সরব হন তিনি। প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় গ্যাস সিলিণ্ডারে বিস্ফোরণ হয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে এই তথ্য কার্যত খারিজ হয়ে যায়। তারপরই জানুয়ারির শেষের দিকে তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।