Kanthi News| তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে দুয়ারে রেশন

Kanthi News| তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে  দেওয়া হচ্ছে দুয়ারে রেশন

কোনও রেশন দোকান নয়, খোদ তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে রেশন দেওয়ার অভিযোগে সরব গেরুয়া শিবির। সামাজিক মাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যদিও, ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আমরা। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁথি অধিকারী পাড়া ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘাসফুল কার্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া রেশন সামগ্রী দানের অভিযোগ উঠল। গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন সৌমেন্দু অধিকারী। জানা যাচ্ছে, কাঁথি পৌর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের রেশন ডিলার প্রভাত দাস।

তিনি বুধবার ওই ওয়ার্ডে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের জন্য খাল পাড় সংলগ্ন চক্রবর্তী পাড়ার কাছে স্থানীয় বাসিন্দা সত্যজিত্‍ পালের অনুমতি নিয়ে ওনার বাড়ির সিঁড়ির তলায় সামগ্রী মজুত রেখে বিলি-বণ্টন করছিলেন। ঠিক যে স্থান থেকে এই রেশন সামগ্রী বিলি হচ্ছিল তার পাশেই রয়েছে কাঁথির ১৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কার্যালয়। আর এখানেই চরম আপত্তি ভারতীয় জনতা পার্টির।

তাদের অভিযোগ কেন্দ্রের পাঠানো সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতি করছে রাজ্যের শাসক দল। বেছে-বেছে নিজেদের লোকেদের সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে বলে জোরালো অভিযোগ করেন দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস। গোটা বিষয়টি বিজেপি কাঁথি পুরসভা ও খাদ্য দফতরকে জানিয়েছে বলেও দাবি বিধায়কের। যদিও এই ঘটনা একদম সঠিক নয় বলে দাবি বাড়ির মালিক সত্যজিত্‍ পালের।

তিনি বলেন, “রেশন ডিলার আমাদের বাড়ির পুরনো ভাড়াটে। আজ এখানে দুয়ারে রেশন দেওয়ার জন্য আমার অনুমতি চায়, আমিও অনুমতি দিয়ে সকালে কাজে বেরিয়ে যাই। তৃণমূল পার্টি অফিস ও এই সিঁড়ি ঘর একদম আলাদাভাবে রয়েছে। ” রেশন ডিলার প্রভাত দাস ফোনে বলেন, “আজ দুয়ারে রেশন ক্যাম্প ছিল। সেই মত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে খাল পাড় এলাকায় রেশন আমি দিয়েছি।

আজ অতিরিক্ত রোদ থাকার কারণে সত্যজিত্‍ পাল বাবুর বাড়ির সিঁড়ি ঘরে মাল রেখে বিতরণ করা হচ্ছিল। ওই ঘরের পাশেই তৃণমূল দলীয় কাউন্সিলর অফিস অবশ্যই আছে। তবে অফিসের রাস্তা আলাদা এবং আমাদের আজকের বিতরণ হয়েছে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে। এই টুকুই বলব বাকি আপনারা বুঝুন…” অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করে ১৫ ওয়ার্ড কাউন্সিলর তনুশ্রী চক্রবর্তী ভট্টাচার্য বলেন, “এদের চোখ থেকেও অন্ধ। মানুষকে হেনস্থা করাই এদের লক্ষ্য।

আমার পার্টি অফিসের মুখ এক দিকে এবং আজ যেখানে রেশন দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ আলাদা মুখ রয়েছে। ঘর মালিক ওই দোকানদার কে ঘর দিয়েছেন ওদের প্রবেশদ্বার আলাদা এবং আমাদের অফিসের প্রবেশ পথ আলাদা। এতেই স্পষ্ট ,আর যারা অভিযোগ করেছেন ওরা রাজনৈতিক ভাবে মাটি হারিয়েছেন তাই জ্বালায় এমন করছেন। যারা রেশন নিচ্ছেন ,আর যারা দিচ্ছেন কারোর কোনও সমস্যা নেই। সমস্যা ওই ঠাণ্ডা ঘরে থাকা লোক গুলোর শুধুই।

শেষ কথা রেশন দোকান ও পার্টি অফিসের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।” গোটা বিষয়টি নিয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্যের পাশাপাশি কাঁথিতে আইনের শাসন নয় শাসকের আইন চলছে। তাই ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস থেকে দুয়ারে সরকারের সামগ্রী বিতরণ হচ্ছে। সরকারি অফিস হয়েছে দলীয় কার্যালয়।

চরম ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কাঁথি পৌরসভা এখন ভগবান ভরসা চলছে, প্রতিদিন চেয়ার নিয়ে টানাটানি ,কয়েকদিন আগে দেখলাম পৌরসভার গেটে তালা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের শ্লোগান, কাঁথি এখন দুষ্কৃতী ও তোলাবাজদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে।”